নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রতিদিন দেশের প্রায় এক কোটি মানুষ ট্রেনে চড়ে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাতায়াত করে থাকেন। এই সকল যাত্রীদের মধ্যে বড় সংখ্যার যাত্রী যারা কেবলমাত্র দূরপাল্লার ট্রেনে যাতায়াত করেন। কম খরচ, স্বাচ্ছন্দ বেশি এবং সুরক্ষিতভাবে গন্তব্যে পৌঁছে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতেই রেল পরিষেবার ওপর যাত্রীদের নির্ভরশীলতা দিন দিন বাড়ছে। আর এই কারণেই ভারতীয় রেল (Indian Railways) হয়ে উঠেছে গণপরিবহনের মেরুদন্ড।
রেলের উপর যেমন দেশের কোটি কোটি মানুষের নির্ভরশীলতা জড়িয়ে রয়েছে ঠিক সেইরকমই রেলের তরফ থেকেও প্রতিনিয়ত যাত্রীদের উন্নত থেকে উন্নততর পরিসেবা দেওয়ার প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। উন্নত থেকে উন্নততর পরিষেবা দেওয়ার জন্য রেলের তরফ থেকে চালু করা হচ্ছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের মতো নতুন নতুন ট্রেন। তবে এসবের মধ্যেও রেলের পরিষেবার ক্ষেত্রে নানান অভিযোগ রয়েছে যাত্রীদের মধ্যে।
রেলের পরিষেবার মধ্যে যাত্রীদের যে সকল অভাব অভিযোগ রয়েছে তার মধ্যে যেমন রয়েছে খাওয়া-দাওয়া, ঠিক সেই রকমই রয়েছে সফরের মাঝপথে হঠাৎ ট্রেনের বাথরুম অথবা বেসিনে জল শেষ হয়ে যাওয়া। মাঝপথে জল শেষ হয়ে গেলে যাত্রীদের চরম অসুবিধায় পড়তে হয়। আর অসুবিধায় পড়ে একাধিক বার যাত্রীরা বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ দেখিয়েছেন, অভিযোগ জানিয়েছেন। এসবের পরিপ্রেক্ষিতেই এবার রেলের তরফ থেকে এমন এক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলো যে মাঝপথে জল শেষ হয়ে যাওয়ার কোন গল্পই আর থাকবে না।
আসলে এতদিন ট্রেনে যে সকল জল ট্যাংকি রয়েছে সেই সকল জল ট্যাংকির জলস্তর মাপার জন্য কোন ব্যবস্থা ছিল না। এবার এই জলস্তর মাপার জন্য বসানো হচ্ছে একটি মেশিন। বিশেষ ঐ যন্ত্র এবং ইন্ডিকেটর মেশিনের মাধ্যমে এবার ট্রেনের ট্যাংকিতে কত পরিমাণ জল রয়েছে তা সহজেই জানা যাবে এবং সঠিক সময়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা যাবে। এর ফলে জল শেষ হয়ে যাওয়ার পর আর তোড়জোড় শুরু করতে হবে না।
ট্রেনের জল ট্যাংকির জলের পরিমাণ মাপার জন্য যে বিশেষ যন্ত্র বসানো হচ্ছে তাতে তিন ধরনের আলো থাকবে। লাল, হলুদ এবং সবুজ। এক্ষেত্রে সবুজ সিন্ডিকেট দেওয়ার অর্থ হল ট্যাঙ্কি ফুল আছে, হলুদ ইন্ডিকেট দিলে বুঝতে হবে আস্তে আস্তে জল শেষ হচ্ছে এবং লাল হয়ে যাওয়ার অর্থ হলো জল শেষ হয়ে গিয়েছে। এই প্রযুক্তির ফলে ট্রেনে যখনই প্রয়োজন পড়বে তখনই জল ভরে নেওয়া যাবে এবং হঠাৎ হঠাৎ মাঝপথে জল শেষ হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা আর হবে না।