নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতের জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের পাশাপাশি দেশের প্রতিটি মানুষের কাছেই চন্দ্রযান ৩ (Chandrayaan 3) হল স্বপ্ন পূরণের সবচেয়ে বড় মিশন। কেননা এই মিশনেই ভারত বিশ্বের প্রথম দেশ হিসাবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফলভাবে ল্যান্ডিং করতে সক্ষম হয়েছে। আবার চাঁদে অবতরণ করার ক্ষেত্রে ভারত চতুর্থ দেশ হয়ে উঠেছে। এর পাশাপাশি ল্যান্ডার বিক্রম (Lander Vikram) এবং রোভার প্রজ্ঞান (Rover Pragyan) যেভাবে নিজেদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা দেখিয়েছে তাও অভূতপূর্ব। কেননা এই দুজনকে নিয়ে যা পরিকল্পনা ছিল তার থেকেও বেশি তারা কাজ করে দেখিয়েছে।
তবে কথায় আছে, যা পাওয়া যায় তার থেকেও বেশি চাহিদা বাড়ে। যে কারণে ল্যান্ডার বিক্রম এবং রোভার প্রজ্ঞানের থেকে ইসরোর (ISRO) বিজ্ঞানীরা আরও নতুন নতুন তথ্য পেতে চাইছেন। নতুন নতুন তথ্য পাওয়ার ক্ষেত্রে চাঁদের মাটিতে সূর্যের আলো পড়ার পর ফের তাদের ঘুম থেকে ওঠার আশা করা হয়েছিল। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। তবে এই যাত্রায় সম্ভব না হলেও কোনভাবেই আশা ছাড়ছেন না বিজ্ঞানীরা।
চাঁদের মাটিতে বিক্রম এবং প্রজ্ঞানের অবতরণ করার পর যখন প্রথম অন্ধকার নেমে আসে তখন তারা স্লিপ মোডে যায়। এরপর যখন পুনরায় সূর্যের আলো পড়ে তখন যদি তারা জেগে উঠতে সক্ষম হতো তাহলে ইসরোর কাছে তা হতো ডবল বেনিফিট। কিন্তু তা হয়নি। তবে এবার হয়নি বলে যে পরেরবার হবে না, এমন আশাও ছেড়ে দিচ্ছেন না বিজ্ঞানীরা। তাহলে কি পরের সূর্যালোকে বিক্রম এবং প্রজ্ঞানের জেগে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে?
এই বিষয়ে সম্প্রতি ইউআর রাও স্যাটেলাইট সেন্টারের ডিরেক্টর এম শঙ্করণ জানিয়েছেন, এবার যখন চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সূর্যের আলো পড়ে তখন বিক্রম এবং প্রজ্ঞান জেগে উঠতে সক্ষম হয়নি। এক্ষেত্রে তাদের পরের বার যখন সূর্যালোক পড়বে তখন জেগে ওঠার সম্ভাবনা খুব ক্ষীণ। তবে সম্ভাবনা ক্ষীণ হলেও কোনোভাবেই আশা ছাড়া হচ্ছে না।
এম শঙ্করণ যা জানিয়েছেন তাতে এবার না হলেও পরেরবার হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম। তবে একেবারেই যে সম্ভাবনা নেই তাও নয়। যদিও এক্ষেত্রে কোন মিরাকেল না হলে হয়তো বিক্রম এবং প্রজ্ঞানের জেগে ওঠা কঠিন। এক্ষেত্রে যদি সত্যিই মিরাকেল ঘটে তাহলে তা ইসরোর বিজ্ঞানীদের কাছে ঈশ্বরের আশীর্বাদ হিসাবেই গণ্য হবে।