If the knockout match is tied, a new decision will be taken: দরজায় কড়া নাড়ছে বিশ্বকাপ ২০২৩। প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হবে গত বিশ্বকাপের রানার্স আপ নিউজিল্যান্ড ও বিজয়ী দল ইংল্যান্ড। উদ্বোধনী ম্যাচেই মুখোমুখি ২০১৯-এর দুই ফাইনালিস্ট। গত ওডিআই বিশ্বকাপ ছিল ইংল্যান্ড ক্রিকেট সমর্থকদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইংল্যান্ড প্রথমবার ওয়ান ডে ফরম্যাটে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। কিন্তু ম্যাচের ফলাফল নিয়ে অসন্তোষ আজও কাটেনি। লর্ডসে বিশ্বকাপ ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড। ম্যাচটির শেষে হয়েছিল টাই। শুধু তাই নয়, সুপার ওভারেও টাই হয়েছিল। শেষপর্যন্ত কে বেশি বাউন্ডারি মেরেছে তার ভিত্তিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন নির্ধারণ হয়। ইংল্যান্ড তার ঘরের মাঠেই জয় করেছিল বিশ্বকাপ। তবে এ বছরের বিশ্বকাপে রয়েছে বেশ কিছু নতুন চমক। আজকের প্রতিবেদনে জেনে নেব সেই সব নতুন নিয়ম গুলো (World Cup new Rules)।
আইসিসি বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে ম্যাচ টাই হলে ফলাফল নির্ধারণের জন্য একটি নতুন নিয়ম চালু করা (World Cup new Rules) হয়েছে। এই নিয়ম অনুসারে, প্রথমে একটি সুপার ওভার খেলা হবে। যদি সুপার ওভারেও ফলাফল টাই হয়, তাহলে আরও একটি সুপার ওভার খেলা হবে। যতক্ষণ না ফলাফল নির্ধারণ না হচ্ছে, ততক্ষণ সুপার ওভারের পর সুপার ওভার চলতে থাকবে। সুপার ওভারে প্রতিটি দল ছয় ওভার করে ব্যাটিং করবে। সুপার ওভারে ব্যাটিং করার জন্য দলকে তাদের প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যান বেছে নিতে হবে। সুপার ওভারে কোনও বোলার দুটি ওভারের বেশি বল করতে পারবে না। সুপার ওভারে যে দল বেশি রান করবে, সে দল জয়ী হবে। যদি দুটি দলের রান সমান হয়, তাহলে আরও একটি সুপার ওভার খেলা হবে।
এবছরের বিশ্বকাপে ম্যাচ চলাকালীন বৃষ্টির সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। সেই কারণেই নকআউটের তিন ম্যাচেই রিজার্ভ ডে-রাখা হয়েছে। লিগ পর্বে প্রতিটা দলই ৯টি করে ম্যাচ খেলবে। যদি কোনও একটি কিংবা দুটি ম্যাচ ভেস্তে যায় তাহলে সংশ্লিষ্ট দলগুলির সমস্যা হবে। কিন্তু সেরা চারটি দল বেছে নেওয়ার জন্য লিগ পর্বে যথেষ্ঠ ম্যাচ রয়েছে। এ বছরের বিশ্বকাপে সবদিক থেকেই নতুন নিয়ম চালু করা হয়েছে (World Cup new Rules)।
বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথমবার সফ্ট সিগন্যাল নিয়ম তুলে দেওয়া হয়েছে (World Cup new Rules)। আগে কোনও ক্যাচ নিয়ে অনফিল্ড আম্পায়ারদের সন্দেহ থাকলেও একটা প্রাথমিক সিদ্ধান্তে আসতেই হতো। এরপর তৃতীয় আম্পায়ার সিদ্ধান্ত নিতেন। আবার মাঠের আম্পায়ারের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত বা সফ্ট সিগন্যাল বদলাতে গেলে ম্যাচের নিখুঁত প্রমাণ চাই। আশা করা যাচ্ছে সেই সমস্যা সমাধান হবে অনেকটাই। ক্যাচ ঠিকঠাক হয়েছে কিনা, মাঠের আম্পায়ারের কোনও সন্দেহ থাকলে সরাসরি তৃতীয় আম্পায়ারের কাছেই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত চেয়ে নেওয়া হবে।
এখনও অবধি নকআউটের যে কর্মসূচি তৈরি করা হয়েছে তাতে প্রথম সেমিফাইনাল হবে মুম্বইতে। এতে মুখোমুখি থাকবে প্রথম ও চতুর্থ স্থানে থাকা দল। আবার দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে থাকা দল খেলবে কলকাতায়। যদি পাকিস্তান সেমিফাইনালে ওঠে, তাহলে তাদের ম্যাচ হবে কলকাতাতে। সেরকমই আবার যদি ভারত সেমিফাইনালে ওঠে তাহলে মুম্বইতেই খেলা হবার কথা। টানটান উত্তেজনা নিয়ে যদি সেমিফাইনালে ভারত-পাকিস্তান ওঠে সেক্ষেত্রে ম্যাচ কলকাতায় হবে। হিসাব কিন্তু বড়ই জটিল। কিন্তু কলকাতার ক্রিকেটপ্রেমীদের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ দেখার সুযোগ মিলতে পারে।