পদ্মা সেতুতে জুড়ছে নতুন পালক! শুনে আনন্দে আত্মহারা বাংলাদেশিরা

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : বাংলাদেশ (Bangladesh) এখনো পর্যন্ত নিজের পরিকাঠামো ব্যবহার করে যে সকল কারনামা দেখিয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম হলো পদ্মা সেতু (Padma Setu)। গত বছর জুন মাসে এই পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের পর তা বাংলাদেশকে রাজস্বের দিক দিয়ে বড় বড় উপহার দিয়েছে। পদ্মা সেতু থেকে আদায় করা রাজস্বে রীতিমতো ফুলেফেঁপে উঠছে ভারতের এই প্রতিবেশী দেশটি। যানবাহন চলাচলের পাশাপাশি এই পদ্মা সেতুতে ট্রেন চালানোর বন্দোবস্তও করা হয়েছে। এসবের পাশাপাশি এবার পদ্মা সেতুতে জুড়ছে নতুন পালক, যা বাংলাদেশীদের আনন্দে আত্মহারা করে তুলেছে।

Advertisements

পদ্মা সেতুতে ফের একবার সাজো সাজো রব তৈরি হয়েছে মূলত নতুন কারনামা দেখানোর জন্য। গত বছরের পর এবার যখন এই সেতুতে রেল পরিষেবা চালু হবে তার জন্য এমন সাজো সাজো রব তৈরি হয়েছে। তবে রেল পরিষেবা চালু হওয়ার পাশাপাশি আরও একটি প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে নতুন ব্যবস্থা চালু হতে চলেছে পদ্মা সেতুতে। সেই বিষয়ে জানার আগে জেনে নেওয়া যাক, কবে থেকে পদ্মা সেতুতে চালু হবে রেল পরিষেবা?

Advertisements

পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে রেল পরিষেবা চালু হবে আগামী ১০ অক্টোবর। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। ঢাকা থেকে মাওয়া হয়ে ভাঙ্গা পর্যন্ত রেল পরিষেবার উদ্বোধন হবে। এই নিয়ে মাওয়া প্রান্তে সাজো সাজো রব তৈরি হয়েছে। এর পাশাপাশি আরও এক কারণে এখন সাজো সাজো রব তৈরি হয়েছে তা হলো অত্যাধুনিক সিগন্যালিং ব্যবস্থা। এই অত্যাধুনিক সিবিআই সিগন্যালিং ব্যবস্থা বসছে পদ্মার নতুন রেল নেটওয়ার্কে।

Advertisements

অত্যাধুনিক এই সিবিআই সিগন্যালিং সিস্টেম চালু করা হচ্ছে পদ্মা সেতুর দুদিকে। এই সিগনালিং ব্যবস্থা ইতিমধ্যেই পদ্মা সেতু রেল নেটওয়ার্কের তিনটি স্টেশনে বসানো হয়েছে। এই বিষয়ে বাংলাদেশ রেলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সেন্ট্রাল ট্রাফিক কন্ট্রোল সিস্টেম যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার রেল পথের ২০টি রেল স্টেশনেরও সার্বিক মনিটরিং করা হবে।

নতুন এই যে সিগনালিং ব্যবস্থা এবং রেল নেটওয়ার্ক চালু করা হচ্ছে তা প্রথম দফায় ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ৪২ কিলোমিটার রেললাইনে চালু হবে। সবার প্রথম এই সিস্টেম চালু হচ্ছে মাওয়া স্টেশন, পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তের পদ্মা সেতু স্টেশন এবং মাদারীপুরের শিবচর স্টেশনে। নতুন এই প্রযুক্তির মাধ্যমে কোথায় ট্রেন রয়েছে তা অটোমেটিক্যালি মনিটারে দেখা যাবে বলে জানানো হয়েছে বাংলাদেশ রেলের তরফ থেকে। এছাড়াও এই প্রযুক্তির ফলে ভুল সিগন্যাল দেওয়ার কোন প্রশ্নই উঠবে না। কারণ ভুল সিগন্যাল কখনোই গ্রহণ করবে না কম্পিউটার।

Advertisements