নিজস্ব প্রতিবেদন : বর্তমান ডিজিটাল যুগে এখন দেশের বড় সংখ্যার মানুষ তাদের জিনিসপত্র ক্রয়ের মূল্য মেটাচ্ছেন ডিজিটাল মাধ্যমে (Digital Payment)। ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড, UPI ব্যবহার করে বড় সংখ্যার ক্রেতারা পেমেন্ট করে থাকেন। আবার এসবের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে ইউপিআই। কেননা ইউপিআই ব্যবহার করে QR কোড স্ক্যান করে সহজেই পেমেন্ট করা যায়। তবে এই পদ্ধতিতে পেমেন্ট করার ক্ষেত্রে এখন শুরু হয়েছে নতুন ধরনের ঘাপলা।
কিউআর কোড স্ক্যান করে সহজেই টাকা পাঠানোর সুবিধার পাশাপাশি আরও একাধিক সুবিধা রয়েছে। আর সেই সকল সুবিধার মধ্যে অন্যতম হলো নম্বর শেয়ার না করা। তবে পেমেন্ট করার ক্ষেত্রে এই প্রযুক্তির জনপ্রিয়তা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই কিছু অসৎ মানুষ নানান ধরনের ফাঁদ পাচ্ছেন যাতে করে টাকা পয়সা ঘাপলা করা যায়। যে কারণে ইউপিআই মাধ্যম ব্যবহার করে কিউআর কোড স্ক্যান করার সময় অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে।
যে সকল পদ্ধতির ব্যবহার করে নতুন ধরনের ঘাপলাবাজির ফাঁদ পাতা হয়েছে, সেগুলি জানলে বা শুনলে আপনিও অবাক হয়ে যাবেন। মূলত ভুল QR কোড বানিয়ে এই ধরনের প্রতারণা করা হচ্ছে। ভুল কিউআর কোড বানিয়ে প্রতারণা করার বিষয়টি অনেকের কাছে বিশ্বাসযোগ্য না হলেও সম্প্রতি বেঙ্গালুরুতে এই ধরনের ব্যাপক প্রতারণার ঘটনা ঘটতে দেখা যাচ্ছে।
ব্যাঙ্গালুরুতে এই ধরনের যে সকল ঘটনার সামনে এসেছে তার মধ্যে চল্লিশ শতাংশ প্রতারণার ঘটনা কেবলমাত্র কিউআর কোড মারফত হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে সাম্প্রতিক পুলিশ রিপোর্ট অনুযায়ী। যে কারণে কেউ যদি বিষয়টিকে খুব হালকাভাবে নিয়ে থাকেন তাহলে তা ঠিক হবে না। এখন এই ধরনের ঘটনা থেকে বাঁচার জন্য কি করতে হবে চলুন দেখে নেওয়া যাক।
কিউআর কোডের মধ্যে কোন প্রতারণার ফাঁদ লুকিয়ে রয়েছে কিনা তা ধরা সাধারণ মানুষের পক্ষে অত্যন্ত কষ্ট কর। কেননা এই ধরনের ঘটনা যারা করে থাকেন তারা কিউআর কোড রিপ্লেস করে দেন। এছাড়াও আরও বিভিন্ন উপায়ে এই ধরনের কাজ করা হয় যেগুলি সাধারণ মানুষদের পক্ষে বুঝে ওঠাও কষ্টকর। তবে এক্ষেত্রে কয়েকটি জিনিস মনে রাখতে হবে, তার মধ্যে অন্যতম হলো যেকোনো ধরনের অ্যাপ ইন্সটল করার আগে যাচাই করে নিতে হবে সেটি google ভেরিফাইড কিনা। এছাড়াও গুগল প্লে স্টোর অথবা আইওএস প্ল্যাটফর্ম ছাড়া কোন অ্যাপ ইন্সটল করলে হবে না। পাশাপাশি কোথাও যখন কিউআর কোড স্ক্যান করে পেমেন্ট করছেন তখন যাচাই করে নিতে হবে দোকানের নাম অথবা ব্যক্তির নাম। যাতে করে আপনি যাকে টাকা দিতে চাইছেন তার পরিবর্তে অন্য কারো কাছে যেন টাকা চলে না যায়।