মহাকাশে ইউ টার্ন! রাস্তা বদল আদিত্য এল১-এর! কাজের লক্ষ্য জানলে গর্বে বুক ভরে যাবে

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : মহাকাশে প্রতিদিনই কোন না কোন কৃতিত্ব দেখাচ্ছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণাগার ইসরো (ISRO)। মহাকাশ নিয়ে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণাগারের এমন ট্রেন্ডিং মুহূর্ত শুরু হয় মূলত চন্দ্রযান ৩ (Chandrayaan 3) এর পর থেকেই। ভারতের তৃতীয়বারের এই চন্দ্রাভিযান ভারতকে চাঁদের মাটিতে প্রথম সফলতা এনে দেয়। যা নিয়ে এখন সরগরম দেশ থেকে বিদেশ সব জায়গা।

Advertisements

তবে এরপরেও ইসরো থেমে থাকেনি, বরং তারা প্রতি মুহূর্তে নতুন নতুন গবেষণা চালাচ্ছে এবং নতুন নতুন অভিযানে নামার পরিকল্পনা গ্রহণ করছে। সেই সকল পরিকল্পনার মধ্যেই এখন সূর্যের এল১ পয়েন্টের দিকে ছুটে চলেছে আদিত্য এল১ (Aditya L1) মহাকাশযান। গত ২ সেপ্টেম্বর ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে এই মহাকাশযান উৎক্ষেপণ করা হয়। তারপর থেকেই সে তার নিজের গন্তব্যের দিকে ছুটে চলেছে।

Advertisements

সূর্যের এল ১ পয়েন্টে পৌঁছানোর জন্য আদিত্য এল১ কে ১৫ লক্ষ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হবে। এই পথ পাড়ি দিতে সে ধাপে ধাপে গন্তব্যের দিকে এগিয়ে চলেছে। এরই মধ্যে ৬ অক্টোবর এই মহাকাশযানটি নিজের গতিপথ সংশোধন করেছে বলে জানালো ইসরো। এর আগে ২৯ সেপ্টেম্বর আদিত্য এল১ পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির মায়া কাটিয়ে দেয় এবং সূর্যের দিকে যাওয়ার জন্য গতিপথ সংশোধন করেছিল। এই বিষয়ে ইসরোর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ‘সূর্য-পৃথিবী এল১ পথে। একটি ট্র্যাজেক্টরি কারেকশন কৌশল (TCM) ৬ অক্টোবর ২০২৩-এর ১৬ সেকেন্ডের জন্য সম্পাদিত হয়েছে।’

Advertisements

মোটের উপর ভারতের প্রথম সৌরযান আদিত্য এল১ এখন ইউ টার্ন হোক অথবা রাস্তা পরিবর্তন সবকিছু করেই বীর বিক্রমে সূর্যের দিকে এগিয়ে চলেছে। এর পাশাপাশি এই মহাকাশযানটির স্বাস্থ্য ভালো রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে ইসরো সূত্রে। পাশাপাশি জানা গিয়েছে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আবার ম্যাগনেটোমিটার চালু করা হবে।

ভারতের প্রথম সূর্যযান আদিত্য এল১ সূর্যকে নিয়ে যে সকল পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবে তা থেকে অনেক তথ্য পাবেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। সূর্যের করোনা, ফোটোস্ফিয়ার, ক্রোমোস্ফিয়ার সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের হাতে আসবে। সবচেয়ে আশ্চর্যের যে বিষয়টি রয়েছে অর্থাৎ সূর্যের করোনা কয়েক মিলিয়ন ডিগ্রী উত্তপ্ত হলেও কেন সূর্যের উপর ইতিহাসের তাপমাত্রা মাত্র ৫ হাজার ৫০০ ডিগ্রী সেলসিয়াস তা পরীক্ষা করা হবে। কিভাবে সৌর ঝড়ের উৎপত্তি এবং সেই সৌর ঝড় কোন পথে পৃথিবীতে আছড়ে পড়তে পারে তার সম্পর্কেও পরীক্ষা চালানো হবে।

Advertisements