This mouth-watering Bengali food will be available in Goa Beach: পুজো মানেই তো ঘুরতে যাওয়া আর এই ব্যাপারে বাঙালি সবথেকে এগিয়ে। এবার কি আপনি পুজোর ছুটিতে গোয়া বেড়ানোর প্ল্যান করছেন? সমুদ্র পাড়ের খাবার কি আপনার আদৌ পছন্দ? তবে এবার আর চিন্তা করতে হবে না। গোয়াতে বেড়াতে গেলেও পেয়ে যাবেন মাছ ভাত (Goa beach Bengali food)। সি বিচেই পাত পেড়ে খাওয়া যাবে ভাত-ডাল-মাঝের ঝোল। এমনই নির্দেশ এসেছে সরকারের তরফে।
গোয়া ঘুরতে গেলে আপনি দেখতে পাবেন সেখানে সি বিচের ধারে সারিবদ্ধভাবে রয়েছে বহু শ্যাক, এখানে পানীয়র পাশাপাশি পাওয়া যায় নানাবিধ সি ফুড। তবে পর্যটকদের বেশিরভাগেরই তা পছন্দ হয়না। গোয়ার পর্যটন মন্ত্রী রোহন খাতুন্ডের নির্দেশে এবার থেকে সেই সমস্যার সমাধান হতে চলেছে। গোয়ার প্রতিটি শ্যাকে এবার থেকে ভাত-ডাল-তরকারি-মাছ রাখা বাধ্যতামূলক করার নির্দেশ দিলেন তিনি(Goa beach Bengali food)।
নতুন শ্যাক পলিসি তৈরি হচ্ছে গোয়ার পর্যটকদের জন্য। এইসব জায়গায় বিভিন্ন ধরনের সি ফুড, কন্টিনেন্টাল, চিনা খাবারের পাশাপাশিই প্রত্যেক দোকানীকে অবশ্যই মেনুতে রাখতে হবে মাছ ভাত(Goa beach Bengali food)। পাশাপাশি থাকবে নারকেলের তৈরি নানাবিধ স্পাইসি খাবার। এরমূল্য উদ্দেশ্য হলো গোয়ার খাদ্যকে প্রচারের আলোয় নিয়ে আসা। উত্তর ভারতের নানা খাবারের পদও শ্যাক পাওয়া যায়। কিন্তু গোয়ার আইটেম বিক্রি হতনা একেবারেই।
গোয়ার প্রতিটি বিচের শ্যাকগুলিতে এবার থেকে মেনু বোর্ড লাগানো থাকবে এবং মেনু সম্পর্কে বিস্তারিত থাকবে সেই বোর্ডে। প্রত্যেকটি শ্যাকে অবশ্যই থাকতে হবে মাছ ভাতের পদও(Goa beach Bengali food)। এ প্রসঙ্গে রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী বলেন, গোয়াতে দেশ-বিদেশ থেকে বহু পর্যটক বেড়াতে আসেন। তাঁদের কাছে স্থানীয় ঐতিহ্যবাহী এবং সুস্বাদু খাবারগুলি পৌঁছে দেওয়া হলো আসল উদ্দেশ্য।
সম্প্রতি গোয়া ক্যাবিনেটে শ্যাক পলিসিতে পাশ হওয়া বেআইনিভাবে দোকান চালানো এবং সি বিচের এলাকা দখল করে নেওয়া সম্পর্কেও বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কি বলেছেন মন্ত্রী? প্রতিটি শ্যাককে তাদের দোকানে কর্মরতদের একটি তালিকা সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরে জমা করতে হবে। সমুদ্রপাড়ে যদি কোনো বেআইনি কার্যকলাপ চলে তাহলে অবশ্যই আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। সরকার কিন্তু শ্যাক মালিকদের সঙ্গে সহযোগিতা করছে। তবে কোনোভাবেই পর্যটন শিল্পকে ক্ষতির মুখে ফেলা যাবেনা। পর্যটন মন্ত্রী বলেছেন, পরিকাঠামোয় উন্নতি প্রয়োজন এবং গোয়া পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে সবচেয়ে উন্নত পরিষেবা দেওয়ার লক্ষ্যে বদ্ধপরিকর। বর্তমানে গোয়ার হোটেলগুলি ৮০ শতাংশ বুকড। অবশ্য এই ব্যাপারে হোটেল মালিকরা সরকারকেই দোষারোপ করবে। তাই কোনও ঢিলেমি না দেখিয়ে পর্যটনের প্রচার বাড়াতে দফতরের পক্ষ যথাযথ পদেক্ষপ নেওয়া হচ্ছে।