Bike riding manual should be taken properly to ride the bike properly: বর্তমান যুগে বেশিরভাগ মানুষই বাইক চালাতে অভ্যস্ত। তবে বাইককে গোদা বাংলায় কেউ কেউ শয়তানের চাকা বলেও ডেকে থাকেন। তার প্রধান কারণ হলো অন্যান্য গাড়ির তুলনায় বাইক নিয়ে দুর্ঘটনায় পড়ার সংখ্যাটা অনেক বেশি। অবশ্য বাইক দুর্ঘটনার ৭০ শতাংশই হয়ে থাকে নিয়ন্ত্রণহীন গতির কারণে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে বাইক চালানোর ম্যানুয়ালটা (Bike riding manual) সঠিকভাবে না জানার কারণে ও দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হয়।
আসলে আপদকালীন অবস্থায় অনেক বাইক আরোহীই বুঝে উঠতে পারেন না বা কিছু ক্ষেত্রে বাইক চালকদের মনে সবসময় একটা প্রশ্ন কাজ করে, যখন তারা বাইকটি থামাবে প্রথমে ক্লাচ চাপবে নাকি ব্রেক ? অনেকেই কিন্তু এর সঠিক উত্তর জানে না। যাইহোক সবকিছুই নির্ভর করে পরিস্থিতির উপর। তাই সঠিক ভাবে বাইক চালানোর জন্য তার ম্যানুয়ালটা (Bike riding manual) ভালো ভাবে জেনে ও রপ্ত করে নেওয়া উচিৎ।
যখন আপনি ব্রেক লাগাবেন সেটা কি পরিস্থিতিতে লাগাচ্ছেন সেটা নির্ভর করছে আপনার মোটরসাইকেলের গতি কত এবং কোন গিয়ারে আপনি ব্রেকটা লাগাচ্ছেন তার উপর। ধরুন আপনি কোন কারনে যানজটে আটকা পড়ে গেছেন কিংবা চলার পথে কোন পশু আপনার গাড়ির সামনে চলে অথবা সামনের গাড়িটি কোন কারনে দাঁড়িয়ে পড়েছে সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই আপনার গাড়িটিকে পুরোপুরি বন্ধ করতে হবে।
যখনই আপনি এরকম কোন পরিস্থিতির সম্মুখীন হবেন তখন প্রথমে ক্লাচ ও পরে গিয়ার টিপবেন। আপনি যদি এই পদ্ধতি অবলম্বন করেন তাহলে আপনার বাইকটি থেমে যাবে। আবার এই পরিস্থিতিতে হঠাৎ করে ব্রেক লাগালে আপনার গাড়ি বন্ধ পর্যন্ত হতে পারে। ধরুন আপনার মোটরসাইকেলের গতি কোন কারনে বেশি রয়েছে সেটাকে যদি কমাতে চান তাহলে আপনি ব্রেক চাপতে পারেন। তার জন্য আপনাকে প্রথমে ক্লাস চেপে ধরতে হবে এবং গিয়ার নীচে নামতে হবে। যদি কখনো পরিস্থিতির জন্য আপনাকে গতি কমাতে হয় তখন এই অভ্যাসটি অত্যন্ত ভালো।
তবে আপনি যদি ঘণ্টায় ৬০ কিমি গতিতে যান এবং কোনো কারণে গতি কমাতে চান তাহলে আপনাকে এই পরিস্থিতিতে ক্লাচ চাপতে হবে না। আপনি হালকাভাবে ব্রেক লাগানোর পর ছেড়ে দিন। আবার জরুরী পরিস্থিতিতে যদি আপনাকে বাইক থামাতে হয় সেক্ষেত্রে ক্লাচ এবং গিয়ার দুটোই একসঙ্গে ব্যবহার করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে আপনাকে মাইলেজ নিয়ে চিন্তা করতে হবে না।