Airplane Engine: বিমানে ছোঁড়া হত মুরগি! কেন? আজব কোনো রীতি না-কি রয়েছে বৈজ্ঞানিক কারণ

Prosun Kanti Das

Updated on:

Advertisements

At one time chickens were thrown into airplane engines for some strange reason: বিভিন্ন ধরনের গণপরিবহনের মধ্যে বিমান হলো সবথেকে উন্নত। যদি আপনার পকেটের জোর থাকে তাহলে বিমানের টিকিট কেটে সহজেই পৌঁছে যেতে পারবেন আপনার পছন্দমত গন্তব্যস্থানে। আপনার সময় অনেক কম লাগবে এবং পৌঁছে যেতে পারবেন আরামেই। বিমানে থাকে তিন ধরনের ক্লাস আশা করি সবাই এই ব্যাপারে জানেন। এছাড়া বিমানে কি কি পরিষেবা পাওয়া যায় সেই ব্যাপারেও অনেকে জানেন। কিন্তু জানেন কি কেনো বিমানের ইঞ্জিনে (Airplane Engine) মুরগি ছোঁড়া হতো?

Advertisements

শুনেই হয়তো ভাবছেন এ আবার কেমন আজব বিষয়, কিন্তু ব্যাপারটি একেবারে সত্যি। অধিকাংশ পাঠক এই বিষয়ে হয়তো অবগত নন আবার কারোর কাছে মনে হবে নিছকই মজা। কিন্তু এমন অদ্ভুত নিয়ম সত্যি পালন করা হতো। ইঞ্জিনে (Airplane Engine) মুরগি ছোঁড়ার ঘটনার পিছনে লুকিয়ে আছে বহু জটিল কারণ।

Advertisements

দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য এই ধরনের পরীক্ষা প্রায় করা হয়ে থাকে। কারণ একটা পাখির কারণে বিমানে বসে থাকা প্রত্যেকটা যাত্রী জীবন বিপন্ন হতে পারে। অনেক সময় কোন কারণে বিমানের ইঞ্জিনে (Airplane Engine) পাখির আঘাত লাগলে তা ইঞ্জিনের ক্ষতি করে। সেই কারণেই মুরগি নিক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে থাকে। তাহলে বোঝা গেল অকারণে এরকম অমানবিক কাজ করা হতো না শুধুমাত্র ইঞ্জিন পরীক্ষার জন্যই এই কাজটি করা হতো।

Advertisements

আপনারা অনেক সময় শুনে থাকবেন যে পাখির ডানার সঙ্গে আঘাত লেগে বিমান দুর্ঘটনা হয়ে থাকে। সেই কারণে যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা চিন্তাভাবনা করেই এই মুরগি নিক্ষেপের কাজটি করা হয় বিমান চালু হওয়ার আগে। এর দ্বারা ইঞ্জিনটিকে ভালোভাবে পরীক্ষা করে নেওয়া হয়, এছাড়া একটি চিকেন গানের মাধ্যমে চিকেনকে ইঞ্জিনে (Airplane Engine) নিক্ষেপ করা হয় শুধুমাত্র যাত্রীদের সুরক্ষার কথা চিন্তাভাবনা করেই। শুধু আজকে থেকে নয় বহু বছর ধরে এই প্রক্রিয়া চলে আসছে।

দুই থেকে চার কেজি ওজনের মুরগি এই কাজে ব্যবহৃত হয় এবং এর মাধ্যমে দেখা হয় ইঞ্জিনে আগুন লাগছে কিনা। যখন কোন বিমান অবতরণ করে কিংবা ভেসে বেড়ায় তখন পাখি ডানার সঙ্গে আঘাত লেগে ইঞ্জিনের ক্ষতি হতে পারে, এমনকি আগুন লেগে যেতে পারে। এতে বিমানটি এবং বিমানযাত্রীদের সবারই ক্ষতি। তাই ইঞ্জিনের পরীক্ষার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, এই পদ্ধতিটিকে বলা হয় বার্ড ক্যানন। ১৯৫০ সালে প্রথমবার হার্টফোর্ডশায়ারের ডি হ্যাভিল্যান্ড এয়ারক্রাফ্টে মৃত মুরগি দিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছিল। বর্তমানে অবশ্য এই পদ্ধতি খুব একটা অবলম্বন করা হয় না, কারণ যুগের সাথে তাল মিলিয়ে প্রযুক্তিবিদ্যা অনেকটা উন্নত হয়েছে। বিমানের ইঞ্জিন পরীক্ষা করার আরো বিকল্প পদ্ধতি বেরিয়ে গেছে।

Advertisements