Now temporary health workers of the state under the Samajik Suraksha Yojana: রাজ্য সরকার বরাবর এই রাজ্যের অধিবাসীদের জন্য বিশেষ পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করে। যেসব স্বাস্থ্যকর্মীরা National Health Mission-এর অধীনস্থ তাদের সামাজিক সুরক্ষা যোজনার আওতাধীন করা হবে। এই প্রকল্পের আওতায় আসতে গেলে প্রায় ২২ হাজার অস্থায়ী চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়তি সুবিধা পাবেন। পুজোর আগেই সুখবর পাচ্ছেন NHM-এর অসংখ্য কর্মী ও চিকিৎসক সংগঠন।
দীর্ঘদিন ধরেই দাবি জানানো হচ্ছিল আয়ুষ মেডিক্যাল অফিসার্স আরবিএসকে অ্যাসোসিয়েশন সহ NHM-এর অসংখ্য কর্মী ও চিকিৎসক সংগঠন এর পক্ষ থেকে। তারা বরাবর সংযুক্ত হতে চেয়েছিল সামাজিক সুরক্ষা যোজনার অধীনে (Samajik Suraksha Yojana)। কোথায় কোথায় দাবি জানিয়েছে তারা? স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্য অধিকর্তা, প্রকল্প অধিকর্তা (এনএইচএম) সহ স্বাস্থ্য বিভাগের একাধিক বিভাগে আবেদন জানানো হয়েছে অনেক আগে থেকেই।
কি কি বাড়তি সুবিধা পাবেন অস্থায়ী কর্মীরা? যদি কোনো অস্থায়ী কর্মীদের পথ দুর্ঘটনা বা অসুখের কারণে মৃত্যু হয় এবং সে যদি সামাজিক সুরক্ষা যোজনার মাধ্যমে জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের আওতাধীন হয় তাহলে তাদের পরিবারের সদস্যরা পাবে আর্থিক সুবিধা । পাশাপাশি যদি কারও দুর্ঘটনায় অঙ্গহানি হয় সেও পাবে আর্থিক সুবিধা এবং ন্যূনতম খরচে স্বাস্থ্যবিমা করে দেওয়া হবে। তাছাড়া কারও বিমা করা থাকলে তার ‘টপ আপ’ করে দেওয়া সহ একাধিক সুবিধা দেওয়া হবে রাজ্যের সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পে (Samajik Suraksha Yojana)।
বহুদিন ধরেই পরিকল্পনা করা হচ্ছিল যে, কিভাবে বিভিন্ন স্বাস্থ্য কর্মীদের রাজ্যের সামাজিক সুরক্ষা যোজনার আওতায় (Samajik Suraksha Yojana) আনা যায়। এছাড়া অন্যান্য রাজ্যের কর্মীরা কি সুবিধা পাচ্ছে সেটাও পর্যবেক্ষণ করা হবে। কর্মীদের ভাতা দেওয়া জন্য বছরে খরচ হবে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা। ইতিমধ্যেই রাজ্য এই বিষয়ে বিভিন্ন ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে।
রাজ্য সরকার কিছুদিন আগে এই প্রকল্পের আওতায় থাকা কর্মীদের অসহায়তার কথা ও আর্থিক বঞ্চনার কথা তুলে ধরেছে কেন্দ্রের কাছে। জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ন। এই মিশনের আওতায় থাকবে প্রসূতির পুষ্টি থেকে শুরু করে জননী সুরক্ষা যোজনা, টিকাকরণ এমনকি ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া, যক্ষ্মার মতো রোগীর চিকিৎসাও। রাজ্যকে এই প্রকল্পে ২২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হবে। যার ৬০ শতাংশ খরচ কেন্দ্রের বহন করার কথা। কিন্তু চলতি আর্থিক বর্ষে ১৩২০ কোটি টাকার মধ্যে রাজ্য পেয়েছে মাত্র ২৮০ কোটি টাকা। সেই কারণেই কেন্দ্রের উপর উঠেছে অভিযোগের আঙ্গুল।