Virat Kohli takes 14 runs In just 1 Ball in Hasan Mahmud over during IND Vs BAN Match: ভারত বিশ্বকাপে তাদের চতুর্থ ম্যাচে বাংলাদেশকে (IND vs BAN Match) ৫১ বল বাকি থাকতেই সাত উইকেট হারিয়ে টানা চতুর্থ জয় তুলে নেয়। যার ফলে নিউজিল্যান্ডের মতো ভারতও টুর্নামেন্টের সব কয়টি ম্যাচ জয় করে, আপাতত ৮ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছে। নিউজিল্যান্ড ও ভারতের পয়েন্ট সমান হওয়া সত্ত্বেও নিউজিল্যান্ডের থেকে নেট রান রেটে সামান্য পিছিয়ে থাকায় ভারত পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে রয়েছে।
এদিন টসে জিতে বাংলাদেশ (IND vs BAN Match) প্রথমে ব্যাট করতে নামে। পুনের ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে বাংলাদেশের ওপেনার জুটি তামিম ও লিটন ৯৩ রানের পার্টনারশিপ করে। বাংলাদেশি ওপেনারদের দাপটে এক সময় মনে হচ্ছিল বাংলাদেশ অনায়াসেই ৩০০ রান টপকে যাবে। কিন্তু মিডিল অর্ডারে বাংলাদেশের ব্যাটিং ব্যর্থতা এবং ভারতীয় স্পিন ডুয়ো জাদেজা ও কুলদীপের সামনে অসহায় আত্মসমর্পণের কারণে মাত্র ২৫৬ রানেই স্কোর বোর্ডে তুলতে পারে।
তবে পুনের মতো ব্যাটিং সহায়ক পিচে ২৫৬ রান যে ভারতের প্রবল পরাক্রমশালী ব্যাটিং লাইন আপকে চ্যালেঞ্জ জানানোর মতো পুঁজি নয় তা বোঝার জন্য ক্রিকেট বোদ্ধা হওয়ার প্রয়োজন নেই। তার উপর শাকিব-তাসকিন বিহীন বাংলাদেশের (IND vs BAN Match) নখদন্তহীন বোলিং যে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের উপর সামান্যতম চাপ সৃষ্টি করতে পারবেনা তা অনুমেয় ছিল। ফলে প্রত্যাশা মতোই ইনিংসের প্রথম থেকেই ভারতের দুই ওপেনার গিল ও রোহিত, বাংলাদেশি বোলারদের উপর বুলডোজার চালাতে শুরু করে। তবে ব্যক্তিগত ৪৮ রানের মাথায় পুল করে ছক্কা মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন রোহিত।
তারপর বিরাট ব্যাটিং করতে নেমে গিলকে সাথে নিয়ে জয়ের লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে থাকে। তবে এদিন বিরাট ব্যাট করতে আসার পর এমন এক ঘটনা ঘটে যা গোটা বাংলাদেশ দলের কাছে অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সেই সাথে ১৯ বছর আগে ঘটে যাওয়া ভারত-পাকিস্তান সিরিজের এক ওভারের কথা মনে করিয়ে দেয় গতকালের হাসান মাহমুদের ওভারটি। ভারত পাকিস্তান সিরিজের সেই ম্যাচে ১১ তম ওভারে বল করতে এসেছিলেন পাকিস্তানি পেসার নাভেদ উল হাসান রানা। বিপক্ষে তখন ব্যাট করছিলেন ভারতের বিস্ফোরক ওপেনার বীরেন্দ্র সহবাগ। নাভেদের করা পরপর নো বলে সুবাদে সেদিন ওভারের প্রথম দুই বলে ২১ রান নিয়েছিলেন সহবাগ।
এদিন হাসান মাহমুদ বিরাট কোহলির বিরুদ্ধে প্রায় সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটিয়ে ফেলেছিলেন। বিরাট ব্যাটিং করতে আসার পর তার প্রথম বলটি ডিপ মিড উইকেটে ঠেলে দুই রাম সংগ্রহ করেন। কিন্তু সেই বলটি নো বল হওয়াতে পরের বলটি ফ্রি হিট হয়ে যায়। যথারীতি কোহলি ফ্রি হিটে লং অন এর উপর দিয়ে চার মারেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক ভাবে সেই বলটিও নো বল হওয়াতে পরবর্তী বলটিও ফ্রি হিট হয়ে যায় এবং সেই বলে স্ট্রেট এর উপর দিয়ে ছক্কা হাকান বিরাট কোহলি। ফলে দুই নো বল, একটি টু শট এবং এক ৬ ও এক ৪ এ, এক বলে রান সংখ্যা দিয়ে দাঁড়ায় ১৪। শেষ পর্যন্ত হাসান মাহমুদ ওই ওভারে ২৩ রান খরচ করেছিলেন এবং ভারতীয় ইনিংস শেষে বিরাট কোহলি, ৯৭ বলে ১০৩ রান করে তার ওয়ানডেতে ৪৮ নম্বর সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন।