Darshan Time of Jagannath Mandir in Puri on Bengali month Kartika: পুরীর জগন্নাথধাম হিন্দুদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র একটি তীর্থস্থান, যার গুরুত্ব অপরিসীম। কার্তিক মাস হলো শ্রী জগন্নাথ টেম্পল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এর কাছে অত্যন্ত পবিত্র। এই সময় এখানে বিশেষ রীতি মেনে পুজো করা হয়। ইতিমধ্যেই জগন্নাথ ধামের সেবায়তরা একটি বৈঠকের আয়োজন করেছে যেখানে কার্তিক মাসের পুজোর রীতি এবং নিয়মকানুন সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। আপনি যদি এই পবিত্র মাসে জগন্নাথ দেবের দর্শন করতে যান অবশ্যই জেনে নেবেন দর্শন এবং মহাপ্রসাদের সময় (Jagannath Mandir Darshan Time)।
কার্তিক মাসকে কিন্তু পবিত্র ওড়িয়া মাস হিসাবে গণ্য করা হয়ে থাকে। তাই এই সময় যেসব পুন্যার্থীরা এই পবিত্র তীর্থস্থানে আসবেন তারা যাতে নির্বিঘ্নে জগন্নাথদেব, বলরাম এবং সুভদ্রার দর্শন করতে পারে সেটাই মন্দির কর্তৃপক্ষের আসল উদ্দেশ্য। দূর দূরান্ত থেকে ভক্তরা একমাত্র মন্দিরের মহাপ্রসাদ অর্থাৎ “বলভোগ” লাভ করার জন্য এখানে সমাগম ঘটান। তবে “রস ঘরা” অর্থাৎ মন্দিরের রান্নাঘরে প্রবেশের অনুমতি সবাইকে দেওয়া হয়না। তাহলে আসার আগে অবশ্যই জেনে নিতে হবে এখানকার সময় সম্পর্কে (Jagannath Mandir Darshan Time)।
আপনাদের জেনে রাখা ভালো যে, ২৫ অক্টোবর থেকে ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত জগন্নাথধামে চলে ‘দ্বারা পিঠা নীতি’। এইসময় ভোর ৪টে নাগাদ তৈরি হবে জগন্নাথদেবের মহাপ্রসাদ। হিন্দুদের কাছে এই প্রত্যেকটি নিয়ম নীতির বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। তাই এই পবিত্র মাসে অনেকেই আসেন বিশেষ মুহূর্তগুলোকে উপভোগ করার জন্য। জগন্নাথদেবের দর্শন যেরকম গুরুত্বপূর্ণ তেমনি গুরুত্বপূর্ণ তার মহাপ্রসাদ, তাই সময় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানা একান্ত জরুরি (Jagannath Mandir Darshan Time)।
চলতি মাসের ২৮ তারিখে ‘রাহুগ্রস্ত খণ্ডগ্রস’ কিংবা ‘চন্দ্রগ্রহণ’। সেইদিন ভোর সাড়ে ৪টে থেকে সাড়ে ৫টার মধ্যে জগন্নাথদেবের ‘রাধা রমন বেশ’। মানে ভগবান জগন্নাথ, বলরাম এবং দেবী সুভদ্রাকে ভক্তিভরে সাজিয়ে তোলা হবে নতুন বেশে। আপনি যদি সেই সময় আসতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে সময় সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখতে হবে (Jagannath Mandir Darshan Time)।
এই বিশেষ মাসে প্রত্যেকটা রীতিনীতি পালন করা হয় শুভ সময় দেখে। চলতি মাসে বেলা ২টো নাগাদ ‘গহন মহাসন’ অর্থাৎ জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রার মূর্তিতে গয়না পরিয়ে সাজিয়ে তোলা হবে। এরপর বিকেল ৪টে বেজে ৪ মিনিটে শুরু হবে ‘পাকা ত্যাগ’ এবং ‘দেব নীতি নীশিধা’। মন্দির কর্তৃপক্ষ এই সময় যে সমস্ত ভক্তরা মন্দিরে আসবে তাদের পোশাকের দিকে কঠোর দৃষ্টি রাখবে। জগন্নাথ মন্দিরের ড্রেস কোড আগামী বছর জানুয়ারি মাস থেকে কার্যকরী হলেও কার্তিক মাসেও যাতে ভক্তরা মার্জিত পোশাক পরে মন্দিরে প্রবেশ করে, সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে কর্তৃপক্ষকে।