Due to some Strange Law of Turkmenistan you will be in danger if you do this on the road: কবি সুকুমার রায়ের “একুশে আইন” কবিতাটি আশা করি সবাই পড়েছেন। পড়ে থাকলে এদেশের নিয়মকানুনের সঙ্গে অনেক জায়গাতেই মিল খুঁজে পাবেন। এখানে কোন মহিলার হাত ধরে একসাথে হাঁটা যাবে না। এমনকি কালো রঙের গাড়ি নিয়ে রাস্তায় বের হলে হতে পারে কঠোর জরিমানা সাথে হাজতবাস। জানেন কোন দেশে এই অদ্ভুত নিয়ম (Strange Law of Turkmenistan) চালু আছে?
দেশটির নাম হলো তুর্কমেনিস্তান। কোন এক সময় দেশটি ছিল সোভিয়েত রাশিয়ার অন্তর্গত, মধ্য এশিয়ার এই দেশটির নিয়ম (Strange Law of Turkmenistan) সত্যিই অদ্ভুত। তুর্কমেনিস্তান কাস্পিয়ান সাগরের তীরে অবস্থিত এবং এটি রাশিয়া থেকে ভেঙে ১৯৯১ সালে স্বাধীন হয়েছিল। এর রাজধানীর নাম আশগাবাত।
আশগাবাতে বেশিরভাগ বাড়ি তৈরি সাদা মার্বেল দিয়ে এবং সেই কারণে কয়েক বছর আগে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম ওঠে তুর্কমেনিস্তানের রাজধানীর। নিঃসন্দেহে এটিকে বিশ্বের সবথেকে সাজানো গোছানো শহর হিসেবে বলা যেতে পারে। সৌন্দর্যের দিক থেকে তুর্কমেনিস্তানের এই রাজধানীকে হারানো মুখের কথা নয়। এখানে রয়েছে ঝরনার কমপ্লেক্স এবং সব থেকে লম্বা পতাকা দন্ড। কিন্তু তা সত্ত্বেও কেন পর্যটকদের ভিড় দেখা যায় না এই সুন্দর দেশটিতে? এর জন্য কি দায়ী এদেশের অদ্ভুত নিয়ম-কানুন (Strange Law of Turkmenistan)?
এ দেশের নিয়ম (Strange Law of Turkmenistan) অনুযায়ী সাদা মার্বেলে তৈরি বাড়িগুলোতে থাকতে পারবে না কোন সাধারণ মানুষ, এমনকি কোন সরকারি কিংবা বেসরকারি অফিসে খোলা যাবে না ওই বাড়িগুলোতে। সাধারণত অফিসে জনসমাগম বেশি ঘটে এবং এর থেকে দূষণের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। তুর্কমেনিস্তানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে গত বছর মার্চ মাসে শপথ নেন সেরদার বেরদিমুহাম্মদ। তিনি দেশের রাস্তায় কোন মহিলার হাত ধরা নিষিদ্ধ করে দেয় এবং নারী পুরুষের মেলামেশার ওপরেও নানারকম আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এদেশে কালো রঙের গাড়ির উপর রয়েছে নানা নিষেধাজ্ঞা। কালো রঙের গাড়ি নিয়ে রাস্তায় বেরোলে দিতে হবে জরিমানা। বহু টাকা খরচা করে গাড়ির মালিকদের গাড়ির রং পরিবর্তন করতে হয়েছে।
যখন সোভিয়েত রাশিয়া ভেঙে স্বাধীন তুর্কমেনিস্তান তৈরির হয়, সেইসময় প্রথম প্রেসিডেন্ট হন সাপারমুরাত নিয়াজভ। তিনি দেশ থেকে রুশ প্রভাব মুছে ফেলতে চেয়েছিলেন, সেই কারণে রুশ নামগুলি মুছে ফেলা ছিল অন্যতম লক্ষ্য। ক্ষমতায় আসার পর তিনি রাজধানী আশগাবাতে সোনায় মোড়া নিজের মূর্তি তৈরি করেন, যায় জন্য খরচ হয়েছিল কোটি কোটি টাকা। বিষয়টি নিয়ে গ্রাহ্য করেননি তৎকালীন প্রেসিডেন্ট এবং দেশের অর্থনীতি যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।