নিজস্ব প্রতিবেদন : দুর্গাপুজো, লক্ষ্মীপুজো শেষ হওয়ার পর এখন কালীপুজোর (Kali Puja) পালা। কালী পুজোতে ঘিরে ইতিমধ্যেই রাজ্যের সব জায়গাতেই চলছে তোড়জোড় প্রস্তুতি। এসবের মধ্যেই এবার রাজ্যের অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হতে চলেছে ৮০ ফুটের কালী প্রতিমা। ৮০ ফুটের কালী প্রতিমা অর্থাৎ প্রায় ৭-৮ তলা উঁচু। এত বড় কালী প্রতিমা কোথায় হবে তা নিয়েই এখন কৌতুহল রাজ্যের বাসিন্দাদের মধ্যে।
এই বছর যেখানে ৮০ ফুটের কালী প্রতিমা হতে চলেছে সেখানে আবার গত বছর ৬০ ফুটের কালী প্রতিমা তৈরি করা হয়েছিল। ৬০ ফুটের ওই কালী প্রতিমাই রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছিল রাজ্যে। ভক্তদের ভিড় আর বড় কালী প্রতিমার আকর্ষণের দিকে তাকিয়ে এই বছর ওই পুজো উদ্যোক্তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ৮০ ফুটের কালিপ্রতিমা তৈরি করার। সেই মতো দুর্গা পুজোর আগে থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে প্রতিমা তৈরীর কাজ। চরম ব্যস্ততার মধ্যে কালীপুজোর দিন কয়েক আগেই এমন বড় কালী মূর্তি তৈরি করার সমস্ত কাজ উদ্যোক্তারা সেরে ফেলতে চাইছেন।
৮০ ফুটের কালী প্রতিমা তৈরি করার এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে ব্যারাকপুর মনিরামপুরের বটতলা স্পোর্টিং ক্লাবের তরফ থেকে। পুজো উদ্যোক্তাদের দাবি, এত বড় কালী প্রতিমা তাদের জেলা তো অবশ্যই, রাজ্যের কোথাও নেই। গত বছরের আগের বছর তাদের তরফ থেকে মাত্র ১০ ফুটের কালী প্রতিমা তৈরি করা হয়েছিল এবং পুজো করা হয়েছিল। এরপর গত বছরই ৬০ ফুট কালী প্রতিমা করা হয়। আর এই বছর ওই কালী প্রতিমার উচ্চতা আরও ২০ ফুট বেড়ে হচ্ছে ৮০ ফুট।
বিশালাকৃতির এই কালী প্রতিমা তৈরি করার জন্য এই বছর মহালয়ার দিন থেকে কাজ শুরু করে দেন মৃৎশিল্পী কৃশানু পাল। এই বছর বটতলা স্পোর্টিং ক্লাবের বিশালাকৃতি এই কালী প্রতিমার পাশাপাশি অন্যতম আকর্ষণ হিসাবে থাকছে চন্দননগরের আলোকসজ্জা। পুজো উদ্যোক্তাদের তরফ থেকে আশা করা হচ্ছে, গত বছরের থেকেও এই বছর অনেক বেশি ভিড় হবে এবং সেই মতোই তারা স্বেচ্ছাসেবক জোগাড় করে সমস্ত রকম প্রস্তুতি চালাচ্ছেন।
বিশালাকৃতির এই ধরনের কালী মূর্তি ক্ষেত্রে এর আগে পর্যন্ত বরাবর নাম ছিল বীরভূমের সিউড়ি থানার অন্তর্গত পুরন্দরপুর বান্ধব সমিতির। তারা অধিকাংশ বছরই ৫০ ফুটের কাছাকাছি বা বেশি কালীমূর্তি তৈরি করে থাকেন। কিন্তু উচ্চতায় গত বছর থেকে তাদের টেক্কা দিচ্ছে উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুরের মনিরামপুরের বটতলা স্পোর্টিং ক্লাব। কেননা গত বছর তাদের প্রতিমার উচ্চতা ছিল ৬০ আর এই বছর ৮০ ফুট।