নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতীয় রেলকে (Indian Railways) ভারতের গণপরিবহনের লাইফ লাইন বলা হয়। মূলত প্রতিদিন দেশের প্রায় এক কোটি মানুষ রেল পরিষেবার ওপর ভর করে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা যাতায়াত করে থাকেন, এই বিপুলসংখ্যক মানুষের নির্ভরশীলতার কারণেই ভারতীয় রেলকে এমন আখ্যা দেওয়া হয়। দেশের কোটি কোটি মানুষের নির্ভরশীলতার পাশাপাশি রেলের তরফ থেকেও এই বিপুল সংখ্যক যাত্রীদের সুখ, স্বাচ্ছন্দের কথা সবসময় ভাবা হয়ে থাকে।
রেলের তরফ থেকে যাত্রীদের সুখ স্বাচ্ছন্দ অর্থাৎ আরামদায়কভাবে যাত্রা করানোর পাশাপাশি রেলের দায়িত্ব তাদের নিরাপত্তা প্রদান করা। যে কারণে রেলের তরফ থেকে ট্রেনে ভ্রমণ করার সময় বিভিন্ন ধরনের নিয়ম জারি করা হয়ে থাকে আর সেই সকল নিয়ম মেনে চলতে হয় যাত্রীদের। নিয়ম না মানলে রীতিমত জরিমানা করা হয়ে থাকে। তবে এইসবকেও ফাঁকি দিয়ে অনেকেই রয়েছেন যারা রেলের নিয়মের বিরুদ্ধে কাজ করে থাকেন।
রেলের যে নিয়ম রয়েছে সেই নিয়ম অনুযায়ী ট্রেনে সফরত কোন যাত্রী ট্রেনের মধ্যে ধূমপান করতে পারেন না। কিন্তু তা সত্বেও দেখা যায় বহুযাত্রী ট্রেনের গেটের সামনে দাঁড়িয়ে অথবা বাথরুমে প্রবেশ করে লুকিয়ে লুকিয়ে সুখটান দেন। কিন্তু এবার এইরকম ভাবেও সুখটান দেওয়ার দিন শেষ করে দিল রেল। রেলের তরফ থেকে এবার এমন ব্যবস্থা আনা হলো সুখটান তো দূরের কথা দেশলাই জ্বালালেই টিং-টিং অর্থাৎ খবর চলে যাবে রেলের কাছে।
ট্রেনে পুরোপুরি ভাবে ধূমপান বন্ধ করার জন্য রেলের তরফ থেকে কোচগুলিতে লাগানো হয়েছে অত্যাধুনিক স্মোক ডিটেক্টর। এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মধ্য দিয়ে এবার রেলের তরফ থেকে হাতেনাতে ধরে ফেলা হবে ধূমপায়ীদের। এছাড়াও এখন ট্রেনের কোচে লাগানো হয়েছে অত্যাধুনিক ফায়ার ডিটেকশন অ্যান্ড ব্রেক অ্যাপ্লিকেশন (FDBA) সিস্টেম। এর ফলে ট্রেনের কোচের সামান্য ধোঁয়া উঠলেই সঙ্গে সঙ্গে তা অ্যালার্ট করবে এবং ট্রেন থামানোর জন্য অটোমেটিক ব্রেক করা হবে।
নতুন এই সিস্টেম ধোঁয়ার ঘনত্ব কম হলে কন্ট্রোল প্যানেল অ্যালার্ট দেবে অর্থাৎ লাল বাতি জ্বলবে। কোচের ভিতর ধোঁয়া চলতে থাকলে লাল বাতি কোচের ভিতরেও জ্বলে উঠবে। ধোঁয়া আরও বাড়তে শুরু করলে অটোমেটিক ব্রেক প্রয়োগ করে ট্রেন থামানোর ব্যবস্থা করবে এই সিস্টেম। এর পাশাপাশি ৬০ সেকেন্ড পর অটোমেটিক ঘোষণা করে ট্রেনের কোচ খালি করে দেওয়ার কথা বলা হবে।