নিজস্ব প্রতিবেদন : আগের ট্রাফিক নিয়ম (Traffic Rules) অনুযায়ী হেলমেট না পরা অথবা ধোঁয়া পরীক্ষা ফেল সহ বিভিন্ন ট্রাফিক আইন অমান্য করার ক্ষেত্রে যে পরিমাণ জরিমানা ছিল তা এখন কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে। কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে নতুন যে মোটর ভেহিকেল সংশোধনী আইন জারি করা হয়েছে তাতেই জরিমানার পরিমাণ ১০ গুণের বেশি বৃদ্ধি করা হয়েছে। দেশের অন্যান্য জায়গার পাশাপাশি এই নিয়ম ইতিমধ্যেই চালু হয়ে গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। নতুন এই নিয়ম অনুসারে যদি কোন ব্যক্তি ট্রাফিক আইন অমান্য করে থাকেন তাহলে তাকে কোন ট্রাফিক আইন অমান্য করার জন্য কত টাকা জরিমানা দিতে হবে চলুন দেখে নেওয়া যাক।
১) প্রথমেই বলা যেতে পারে মোটরবাইক আরোহীদের হেলমেট না পরার আইন ভঙ্গ। হেলমেট না পরার জন্য প্রথমবার এক হাজার টাকা জরিমানা নেওয়া হয়। দ্বিতীয়বারও একই নিয়ম ভঙ্গ করলে এক হাজার টাকা জরিমানা নেওয়া হয়।
২) মোটরবাইক হোক অথবা অন্য কোন যানবাহন, রাস্তায় চালানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় নিয়ম হলো স্পিড লিমিট। রাজ্যের এবং দেশের সব রাস্তাতেই নির্দিষ্ট স্পিড লিমিট রয়েছে। সেই নির্দিষ্ট স্পিড লিমিট না মানলে প্রথমবারের জন্য এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই নিয়ম ভঙ্গের জন্য দ্বিতীয়বার ধরা পড়লে ২০০০ টাকা জরিমানা দিতে হয়।
৩) PUC সার্টিফিকেট অর্থাৎ পলিউশন আন্ডার সার্টিফিকেট বা ধোঁয়া পরীক্ষা। এটি প্রতিটি যানবাহনের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সার্টিফিকেট এবং এই সার্টিফিকেট না থাকলে ২০০০ টাকা জরিমানা দিতে হয়।
৪) যানবাহন চালানোর ক্ষেত্রে সিগনাল অমান্য করা হলে সেক্ষেত্রে চালককে প্রথমবার ৫০০ টাকা জরিমানা দিতে হয় এবং একই অপরাধের জন্য দ্বিতীয়বার ধরা পড়লে ১৫০০ টাকা জরিমানা দিতে হবে।
৫) কোন চালকের যদি ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকে অর্থাৎ ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়াই যানবাহন চালান তাহলে তা ঘোরতর অপরাধ। এমন অপরাধের জন্য পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা নেওয়া হয়।
৬) গাড়ির রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট না থাকলে সেই গাড়ি রাস্তায় বের করা যায় না নিয়ম অনুসারে। এই ধরনের ঘটনার ক্ষেত্রে অর্থাৎ গাড়ির রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট না থাকলে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হয়।
৭) মদ পান করে যদি কেউ যানবাহন চালিয়ে থাকেন তাহলে তা ঘোরতর অপরাধ। এমন অপরাধের ক্ষেত্রে জরিমানা স্বরূপ ১০০০০ টাকা দিতে হয়। এছাড়াও জেল হতে পারে। কোন কোন ক্ষেত্রে আবার জরিমানা এবং জেল দুটোই হতে পারে।