Former Indian national team cricketer Sadagoppan Ramesh turned himself into a movie hero: ভারতীয় ক্রিকেট দল চলতি বিশ্বকাপে ফুল ফর্মে রয়েছে। গত কাল ইডেন গাডেন্সে দক্ষিণ আফ্রিকাকে গো হারান হারিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট দল। তবে আজ কথা বলবো এক হারিয়ে যাওয়া ক্রিকেট তারকাকে নিয়ে। এই ক্রিকেট তারকার নাম সদাগোপন রমেশ (Sadagoppan Ramesh)। এই ক্রিকেটারের ক্যারিয়ারের প্রথম ওডিআই এ প্রথম বলে উইকেট নেওয়ার রেকর্ড রয়েছে। তবে আজ তিনি কোথায়? ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে কী করছেন তিনি? চলুন এই প্রতিবেদন থেকে ভুলতে বসা এই ক্রিকেটারকে একবার স্মরণ করা যাক।
প্রাক্তন ক্রিকেটার সদাগোপন রমেশ (Sadagoppan Ramesh) ১৯৭৫ সালের ১৬ই অক্টোবর মাদ্রাজে অংশ গ্রহণ করেন। তিনি ভারতের জাতীয় দলের সদস্য ছিলেন। যিনি মূলত ব্যাটসম্যান ছিলেন। বামহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি। এছাড়া ডান হাতে অফ বোলিং করতেন তিনি। তিনি তামিলনাড়ুর হয়ে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট খেলতেন। তবে তিনি দুইবার কেরালা ও একবার অসমের হয়ে খেলেছেন।
এই ক্রিকেটার (Sadagoppan Ramesh) প্রথম টেস্টে অভিষেক ঘটান ১৯৯৯ সালে, ভারত বমান পাকিস্তানের ম্যাচে। শুরু দিকে বেশ ভালোই পারফরম্যান্স দিয়েছিলেন তিনি। অনেকেই ভেবেছিলেন ভারত একটা দুর্দান্ত ব্যাটসম্যান পেয়েছেন। তবে বেশিদিন তিনি টেস্ট খেলেননি। ২০০১ সালে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে শেষ টেস্ট ম্যাচ খেলেন সদাগোপন রমেশ। মোট ১৯টি টেস্ট ম্যাচে ১,৩৬৭ রান করেছেন তিনি। ব্যাটিংয়ের গড় ছিল ৩৭.৯৭। টেস্টে তিনি ২টি সেঞ্চুরি এবং ৮টি হাফ সেঞ্চুরি করেছেন।
১৯৯৯ সালে ভারত বনাম শ্রীলঙ্কার ম্যাচের মধ্যে দিয়ে প্রথম ওডিআই-এ অভিষেক করেন এই ক্রিকেটার (Sadagoppan Ramesh)। তবে খুব বেশি ম্যাচ তিনি খেলেননি। তিনি ওই বছরই দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ওডিআই এ শেষ ম্যাচ খেলেন। মোট ২৪টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। তাঁর মোট রান ৬৪৬ এবং ব্যাটিং গড় ২৮.০৮। ওডিআই জুড়ে তিনি মোট ৬টি হাফ সেঞ্চুরি করেছেন। তবে তিনি ওডিআই এর প্রথম ম্যাচের প্রথম বলেই উইকেট নিয়ে রেকর্ড করেছেন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে এই ক্রিকেটার সিনেমা জগতে পা রাখেন। তিনি (Sadagoppan Ramesh) ‘সন্তোষ সুব্রাহ্মণ্যম’ নামক একটি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। যে ছবিটি ২০০৮ সালে মুক্তি পেয়েছিল। এরপর ‘পোত্তা পোত্তি’ নামক একটি সিনেমাতেও তাঁকে হিরোর ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল। তবে এখানেও সফলতা না পেয়ে পরবর্তীতে তিনি নিজের ব্যবসা খোলেন। বর্তমানে তাঁকে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ হিসেবে বিভিন্ন চ্যানেলে দেখতে পাওয়া যায়।