নিজস্ব প্রতিবেদন : গত সপ্তাহে বঙ্গোপসাগরের বিপরীত ঘূর্ণাবর্ত এবং তার প্রভাবে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বৃদ্ধির পর বেড়েছিল তাপমাত্রা। তবে হাওয়া অফিসের তরফ থেকে আগেই জানানো হয়েছিল, সোমবার থেকে পুনরায় দক্ষিণবঙ্গের (South Bengal) তাপমাত্রার পারদ নিম্নমুখী হবে। হাওয়া অফিসের সেই পূর্বাভাসকে সত্যি করে সোমবার থেকেই তরতড়িয়ে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। এমনকি দুই জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পারদ নেমে গিয়েছে ১৬ ডিগ্রিতে।
হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সোমবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে পাঁচ দিন কোনরকম বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। বৃষ্টির সম্ভাবনা না থাকার কারণে শুষ্ক আবহাওয়া তৈরি হচ্ছে এবং বাধাহীন ভাবে ঢুকতে শুরু করেছে উত্তুরে হাওয়া। যে কারণে দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলাতেই তাপমাত্রার পারদ নামতে শুরু করেছে। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে তাপমাত্রার পারদ রাতের দিকে ২° নামবে বলে জানানো হয়েছে।
হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গের দার্জিলিংয়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পারদ ১০ ডিগ্রির নিচে নেমে গিয়েছে। দার্জিলিংয়ের পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের মুর্শিদাবাদের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছে ১৫.৪ ডিগ্রিতে এবং পুরুলিয়ার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছে ১৬.১ ডিগ্রিতে। এই পরিস্থিতি দেখে বলাইবাহুল্য শীত (Winter Season) আর বেশি দেরি নেই।
শুধু তাই নয়, এছাড়াও দক্ষিণবঙ্গের আরও বেশ কয়েকটি জেলা, যাদেরও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রীর নিচে নেমেছে। যেমন আসানসোলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৯.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুরে ১৮ ডিগ্রি, মেদিনীপুরে ১৯.৬ ডিগ্রি, মুর্শিদাবাদে ১৫.৪ ডিগ্রি, পুরুলিয়ায় ১৬.১ ডিগ্রি, শ্রীনিকেতনে ১৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যদিকে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আজ রাতেই ২১ ডিগ্রিতে নেমে যাবে।
রাতের দিকে এবং সকালের দিকে ভালোভাবেই শীত অনুভব করা যাবে বলে জানানো হয়েছে অফিসের তরফ থেকে। বিশেষ করে পশ্চিমের জেলাগুলিতে তাপমাত্রার পতন বেশ ভালোভাবেই টের পাওয়া যাবে। কালীপুজোর সময় বেশ কিছু জেলার বাসিন্দাদের রাতে শীতবস্ত্র পরিধান করতে হলেও হতে পারে। তবে ঠিক এখনই হাওয়া অফিসের তরফ থেকে বলা সম্ভব নয় ঠিক কবে পড়বে জাঁকিয়ে শীত।