This entire city of South Australia in is underground: এই বিশ্বে কত যে অদ্ভুত জিনিস আছে তার ইয়ত্তা নেই। সেরকমই প্রচুর অদ্ভুত জায়গা রয়েছে এই বিশ্বে, আপনারা নিশ্চয়ই সেই সম্পর্কে গল্প শুনে থাকবেন। কোথাও রয়েছে পৃথিবীর সব থেকে উঁচু ইমারত, আবার কোথাও রয়েছে সবথেকে উঁচু মূর্তি। কোথাও আবার দেখতে পাবেন একটি বহুতলে বসবাস করছে গোটা একটা শহর। আবার বরফে তৈরি বাড়িতে থাকতেও মানুষকে দেখা যায়। কিন্তু কখনো শুনেছেন কি মাটির তলাতেই গোটা শহর থাকতে পারে (Underground City)? আশ্চর্যের কথা হলো শহরের কেবল বাড়িই নয়, সুপারমার্কেট, হোটেল, গির্জা, দোকান এবং অন্যান্য সমস্ত পরিষেবাই মাটির নীচে বসবাসকারী নাগরিকদের দেওয়া হয়।
ভাবছেন কথাটি একেবারে মিথ্যা? আপনি ভাবতেও পারবেন না এমন শহর কিন্তু এই পৃথিবীতে আছে। দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার মরুভূমিতে এরকম অদ্ভুত শহর রয়েছে যা সম্পূর্ণ মাটির নীচে অবস্থিত (Underground City)। শহরটির নাম হলো কুবার পেডি। চলুন দেরি না করে শহরটি সম্পর্কে জেনে নিই বিস্তারিতভাবে। আসলে কুবার পেডি শহরটি যেখানে অবস্থিত সেখানে আছে প্রচুর ওপালের খনি। এখানকার নাগরিকরা সেই পরিত্যক্ত ওপাল খনিতে বাস করেন। আপনারা নিশ্চয়ই জানেন যে, ওপাল একটি বহুমূল্য রত্ন। বাংলায় যায় নাম ময়ূরাক্ষী রত্ন। এই রত্নের গুরুত্ব অনেক। অনেকেই বিভিন্ন কারণে আংটিতে ওপাল বা ময়ূরাক্ষী ধারণ করে। এই খনিগুলির জন্নয়ো 8কুবার পেডিকে বলা হয় ‘ওপাল ক্যাপিটাল অফ দ্য ওয়ার্ল্ড’।
১৯১৫ সালে প্রথম কুবার পেডিতে খনির কাজ শুরু হয়েছিল। এই স্থানটিতে মরুভূমি হওয়ার জন্য গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রা অনেক বেড়ে যায় এবং শীতকালে অনেকটাই কমে যায়। এই ধরনের পরিবেশে সাধারণ মানুষের বেঁচে থাকা সত্যি খুব কষ্টকর হয়ে পড়েছিল। সমস্যার সমাধান হিসেবে পরিতক্ত খুনিগুলোকে নিজেদের বাসস্থান হিসেবে বেছে নেন এলাকার বাসিন্দারা (Underground City)। প্রায় ১৫০০টি বাড়ি তৈরি করা হয়েছে গোটা এলাকা জুড়ে। বাইরে থেকে দেখলে আপনি কিছুই বুঝতে পারবেন না স্বাভাবিক মনে হবে সমস্ত বাড়িগুলোকে। কিন্তু ভেতরে আপনার জন্য সব রকমের সুযোগ সুবিধা মজুদ রয়েছে। যেহেতু বাড়িগুলো মাটির নিচে তৈরি তাই খুব গরম কিংবা ঠান্ডা কোনটাই অনুভূত হয় না। গ্রীষ্মকালে, এখানকার মানুষের এসি বা কুলারেরও প্রয়োজন হয় না কিন্তু শীতকালে তাদের হিটার ব্যবহার করতে হয়।
মজাদার ব্যাপার হলো কুবার পেডিতে যেসব পর্যটক আসে তাদের জন্য রয়েছে আন্ডারগ্রাউন্ড হোটেলও (Underground City)। যদি পর্যটকরা এখানে রাত কাটান তাহলে হোটেল খরচ বাবদ দিতে হবে ১২ হাজার টাকার বেশি। হোটেলে আছে একটি দুর্দান্ত ক্লাব, পুল গেমের জন্য টেবিল, ডাবল এবং সিঙ্গল বেড সহ কক্ষ রয়েছে। এছাড়াও আছে সোফা এবং রান্নাঘর।
এখানকার মানুষের জীবনযাত্রার ধরন অনেকটাই অন্যরকম যা গোটা বিশ্বের পর্যটকদের আকৃষ্ট করে। এখানে বহু হলিউডের ছবির শুটিং হয়েছে। এই শহরটিতে ২০০০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘পিচ ব্ল্যাক’ ছবির শুটিং হয়েছিল। শুটিং শেষ হবার পর চলচ্চিত্রে ব্যবহৃত স্পেস শিপটি এখানে ফেলে রেখে যায় প্রয়োজক সংস্থাটি। শহরে যে পরিমাণ বিদ্যুতের চাহিদার দরকার, তাদের ৭০ শতাংশ মেটানো হয় এখানে নির্মিত হাইব্রিড এনার্জি পাওয়ার প্লান্টের মাধ্যমে।