প্রথমদিনেই বাজিমাত বাংলার! বাণিজ্য সম্মেলনে কাদের থেকে মিলল প্রস্তাব

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যে বিনিয়োগ প্রান্তে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে শুরু করা হয়েছে বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন (BGBS)। বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন নিয়ে বিরোধীদের তরফ থেকে কম কটাক্ষ করা হচ্ছে না। তাদের দাবি, এই নিয়ে সাত সাতটি বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের আয়োজন করছে রাজ্য, কিন্তু বিনিয়োগ এলো কত টাকার? তাদের দাবি অনুযায়ী, সাত বারের বাণিজ্য সম্মেলন পুরোপুরি ফ্লপ।

Advertisements

তবে বিরোধীরা যাই বলুক না কেন বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের প্রথম দিনেই রীতিমতো বাজিমাত করেছে রাজ্য। কেননা এই সম্মেলনে মুকেশ আম্বানি থেকে শুরু করে দেশের বড় বড় শিল্পপতি ও বিশিষ্টজনদের হাজির করতে সক্ষম হয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে এখনো পর্যন্ত যে কটি বাণিজ্য সম্মেলন করা হয়েছে সেখান থেকে ১৫ লক্ষ কোটি টাকার বিনিয়োগের প্রস্তাব পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। এখন প্রশ্ন হল কারা এই বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগের জন্য প্রস্তাব দিয়েছেন?

Advertisements

বিনিয়োগের যারা প্রস্তাব দিয়েছেন তাদের তালিকায় প্রথমেই রয়েছেন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের কর্ণধার মুকেশ আম্বানি। তিনি রাজ্যে ২০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করার প্রস্তাব দিয়েছেন এখনো পর্যন্ত। রাজ্যে বিপুল পরিমাণ এই অর্থ বিনিয়োগ করার প্রস্তাব দেওয়ার পাশাপাশি মুকেশ আম্বানি পুরাতন ঐতিহ্যকে সম্মান করে কালীঘাট মন্দিরের সংস্কার করার প্রস্তাব দেন। খুব তাড়াতাড়ি এই কাজ শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন।

Advertisements

মুকেশ আম্বানি ছাড়াও এই সম্মেলনে পার্টনার দেশ হিসাবে অংশগ্রহণ করেছে অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি, জাপান, ফ্রান্স, সাউথ কোরিয়া, নেদারল্যান্ড, কেনিয়া, ফিজি, বাংলাদেশ সহ মোট ১৭টি দেশ। পার্টনার দেশ ছাড়াও এবার এই সম্মেলনে মোট ৩৫টি দেশ অংশগ্রহণ করেছে বলে দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এইসবের পরিপ্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, সবকটি বাণিজ্য সম্মেলন মিলিয়ে ১৯০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগের প্রস্তাব পাওয়া গিয়েছে এবং ইতিমধ্যে ১২১ বিলিয়ন ডলারের প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

এছাড়াও এই সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে উঠতে দেখা যায় তাজপুর বন্দরের প্রসঙ্গ। তিনি জানান তাজপুর গভীর সমুদ্র বন্দর তৈরীর কাজ প্রায় শেষ। এখন চাইলে শিল্পপতিরা সেখানে টেন্ডারের জন্য আবেদন করতে পারেন। একইভাবে বীরভূমের ডেউচা পাঁচামীর কয়লা খনির প্রসঙ্গও তুলতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই কয়লা খনি প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে এবং কম খরচে শিল্পপতিরা বিদ্যুৎ পাবেন বলেও দাবি করেছেন।

Advertisements