নিজস্ব প্রতিবেদন : ২০১১ সালে সরকারি আসার পর তৃণমূলের তরফ থেকে নানান ধরনের জনদরদী প্রকল্প চালু করা হয়েছে। তৃণমূল সরকারের বর্তমানে জনদরদী প্রকল্পের সংখ্যা প্রায় ৫০। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, এই সমস্ত প্রকল্প মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay) মস্তিষ্কপ্রসূত। মুখ্যমন্ত্রীর মস্তিষ্কপ্রসূত যে সকল প্রকল্প এই মুহূর্তে রাজ্যে চলছে, সেই সব প্রতিটি প্রকল্পের মাধ্যমে উপকৃত হচ্ছেন রাজ্যের মানুষরা। তবে এইসব প্রকল্পের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রকল্প হয়ে দাঁড়িয়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhandar)।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পটি এমন ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করার কারণ হলো, এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের ২৫ থেকে ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত মহিলাদের প্রতি মাসে হাত খরচের জন্য নগদ টাকা দেওয়া হয়। সাধারণ শ্রেণীর মহিলাদের জন্য প্রতি মাসে ৫০০ টাকা এবং তপশিলি জাতি ও উপজাতির মহিলাদের প্রতি মাসে ১০০০ টাকা দেওয়া হয়ে থাকে। ২০২১ সাল থেকে চালু হওয়া এই প্রকল্প এখনো সমানভাবে চলছে। বৃহস্পতিবার এই প্রকল্প এবং বিধবা ভাতা প্রকল্প নিয়ে বড় ঘোষণা করতে দেখা গেল মুখ্যমন্ত্রীকে।
বৃহস্পতিবার কলকাতার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় সভা। সেই দলীয় সভাতে বিভিন্ন প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখতে গিয়ে নতুন করে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার এবং বিধবা ভাতা প্রকল্প নিয়ে কথা বলতে শোনা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। মুখ্যমন্ত্রী ভাষণ দেওয়ার সময় এই দুটি প্রকল্প নিয়ে যে কথা জানিয়েছেন তাতে স্বস্তি ফিরেছে ৯০ লক্ষ রাজ্যের মহিলাদের। এছাড়াও বাংলার বাড়ি নিয়েও বড় ঘোষণা করে তিনি জানান সব হবে।
এদিন ইনডোর স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, নতুন করে যেসব ৯০ লক্ষ মহিলারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার এবং বিধবা ভাতা প্রকল্পের জন্য আবেদন করেছেন তাদের পেনশন দেওয়া শুরু হয়ে যাবে। তিনি সব রেডি করে রেখেছেন বলেও জানিয়েছেন। এর পাশাপাশি বাংলার বাড়ি প্রসঙ্গেও তিনি আশ্বাস দিয়ে জানিয়েছেন হাতে একটু টাকা এলেই সব ব্যবস্থা হয়ে যাবে। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর এমন ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের ৯০ লক্ষ মহিলার কপাল খুলতে চলেছে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।
এছাড়াও এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশ্বাস দেন, এই প্রকল্প কোনদিন বন্ধ হবে না। পাশাপাশি তিনি আরও একবার মনে করিয়ে দেন, যারা এই প্রকল্পে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করেছেন তাদের বয়স যখন ৬০ বছর পেরিয়ে যাবে তখন তাদের নতুন করে আর কোন আবেদন করতে হবে না। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প নিজে থেকেই বদলে যাবে বার্ধক্য ভাতায়। তখন বার্ধক্য ভাতার পেনশন অনুযায়ী টাকা পাবেন মহিলারা।