নিজস্ব প্রতিবেদন : শুধু ভারত নয়, বিশ্বের প্রতিটি দেশের অধিকাংশ মানুষের কাছেই ব্যাঙ্কিং পরিষেবা (Banking Sector) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পরিষেবা হিসেবে বিবেচিত হয়। কেননা বর্তমান সময়ে যতই অনলাইন লেনদেন আসুক না কেন, বিভিন্ন কারণে গ্রাহকদের ব্যাংকের শাখায় (Bank) যেতে হয়। আরে ব্যাংকের শাখায় গিয়ে ব্যাংক বন্ধ থাকা দেখে ঘুরে আসা মানেই ভোগান্তি।
ব্যাংকিং পরিষেবার এত বেশি গুরুত্বের কথা মাথায় রেখেই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (RBI) তরফ থেকে প্রতিমাসের ছুটির তালিকা আগাম প্রকাশ করা হয়ে থাকে। সেই তালিকা অনুযায়ী গ্রাহকরা জানতে পারেন কোন কোন দিন বন্ধ থাকবে ব্যাংকের শাখা এবং সেইমতো সেইদিন তারা যান না। কিন্তু ডিসেম্বর মাসে টানা ৮ দিন ব্যাংক বন্ধ থাকার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। এই আশঙ্কায় রীতিমতো সিঁদুরে মেঘ দেখছেন গ্রাহকরা।
এখন প্রশ্ন হল কেন টানা ৮ দিন ব্যাংক বন্ধ থাকার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে? টানা ৮ দিন ব্যাংক বন্ধ থাকার আশঙ্কা তৈরি হওয়ার পিছনে কোন উৎসব, পার্বণ নয়, এই আশঙ্কা তৈরি হয়েছে মূলত ব্যাংক কর্মীদের আন্দোলনের কারণে। অল ইন্ডিয়া ব্যাংক এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন এই বিষয়ে একটি ঘোষণা করেছে। মূলত দীর্ঘদিন ধরে তাদের আটকে থাকা বিভিন্ন দাবি দেওয়া আদায় করতেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে তাদের তরফ থেকে।
ওই ব্যাংক অ্যাসোসিয়েশনের ঘোষণা অনুযায়ী ডিসেম্বর মাসের ৪ তারিখ থেকে ১১ তারিখ পর্যন্ত তারা টানা ধর্মঘটের (Bank Strike) পথে নামতে পারেন। তবে এই টানা ৬ দিন সমস্ত ব্যাংকের কর্মীরা একসঙ্গে ধর্মঘটে সামিল হবেন না বলেও জানা যাচ্ছে। তাদের তরফ থেকে গ্রাহকদের সুবিধা অসুবিধার কথা মাথায় রেখে রিলে ধর্মঘট করা হতে পারে এমনই সূত্রের খবর। এমনকি কোন দিন কোন ব্যাঙ্কের কর্মীরা ধর্মঘটে শামিল হবেন সেই তালিকাও তাদের তরফ থেকে দেওয়া হয়েছে।
পঞ্জাব ন্যাশেনাল ব্যাঙ্ক (PNB), স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (SBI) এবং পাঞ্জাব অ্যান্ড সিন্ধ ব্যাঙ্কের কর্মীরা ৪ ডিসেম্বর শামিল হবেন ধর্মঘটে।
ব্যাঙ্ক অফ বরোদা এবং ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার কর্মীরা ৫ ডিসেম্বর শামিল হবেন ধর্মঘটে।
কানাডা ব্যাঙ্ক এবং সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার কর্মীরা ৬ ডিসেম্বর ধর্মঘটে শামিল হবেন।
ইন্ডিয়ান ব্যাংক এবং ইউকো ব্যাংকের কর্মীরা ধর্মঘটে শামিল হবেন ৭ ডিসেম্বর।
ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া এবং ব্যাঙ্ক অফ মহারাষ্ট্রের কর্মীরা ধর্মঘটে সামিল হবেন ৮ ডিসেম্বর।
এরপর ১১ ডিসেম্বর ব্যাংক ধর্মঘটে শামিল হবে দেশের সমস্ত বেসরকারি সেক্টরের ব্যাংকগুলি।
এক্ষেত্রে ব্যাংক কর্মীদের ৬ দিনের ধর্মঘট এবং ৯ ও ১০ ডিসেম্বর শনিবার এবং রবিবার পড়ার কারণে দেশজুড়ে টানা ৮ দিন ব্যাংক বন্ধ থাকার বড় আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। এক্ষেত্রে যদি ব্যাংক কর্মীদের দাবি দেওয়া নিয়ে সরকার পদক্ষেপ গ্রহণ না করে তাহলে ডিসেম্বর মাসে গ্রাহকদের চরম ভোগান্তি রয়েছে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।