সিলিং ফ্যানের নিয়মে বদল! সামনে বছর থেকে না মানলে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা

Shyamali Das

Published on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৪ সাল থেকে সিলিং ফ্যানের (Ceiling Fan) নিয়মে বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হচ্ছে। কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই সেইসকল পরিবর্তনের বিষয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। যে কারণে এই নিয়ম জারি হওয়ার পর থেকে প্রতিটি গ্রাহককে সিলিং ফ্যান কেনার সময় সতর্ক থাকতে হবে। জানা যাচ্ছে, আগামী বছর ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই এই নিয়ম জারি হয়ে যাবে।

বর্তমান সময়ে গরম থেকে বাঁচার জন্য এসি সহ বিভিন্ন ধরনের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম এসে গেলেও সিলিং ফ্যানের চাহিদা কোন অংশে কমেনি। দেশের প্রায় অধিকাংশ বাড়িতেই রয়েছে সিলিং ফ্যান। বর্তমানে শীতকাল এসে যাওয়াই সিলিং ফ্যানের চাহিদা কম রয়েছে। তবে একটু গরম পড়লেই আবার এই সিলিং ফ্যানের চাহিদা কয়েকগুণ বেড়ে যাবে। আগামী দিনে সিলিং ফ্যান কেনার সময় কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে নির্দিষ্ট করে দেওয়া নিয়ম মেনেই তা কিনতে হবে।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করে জানিয়েছেন, ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে সিলিং ফ্যান কেনার সময় ক্রেতাদের কিছু জিনিস পরীক্ষা করে দেখে নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি জানিয়েছেন, কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে সিলিং ফ্যানের ক্ষেত্রে নিয়মে যে পরিবর্তন আনা হয়েছে তা মূলত গ্রাহকদের স্বার্থেই। সুতরাং যেখানে গ্রাহকদের স্বার্থ জড়িয়ে রয়েছে সেখানে গ্রাহকদের স্বার্থের সঙ্গে কোন রকম সমঝোতা করা হবে না।

কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে মূলত নিয়মে যে পরিবর্তন আনা হচ্ছে তাতে এবার সিলিং ফ্যান প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলিকে কোয়ালিটি কন্ট্রোল অর্ডার অনুযায়ী ফ্যানের কোয়ালিটি ঠিকঠাক রাখতে হবে। কোয়ালিটি ঠিকঠাক রাখার পাশাপাশি প্রতিটি ফ্যানে ISI মার্ক থাকা বাধ্যতামূলক। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের পর থেকে আর BIS চিহ্ন না থাকলে সেই সিলিং ফ্যান বিক্রি করা যাবে না। এমনকি গোডাউনে রাখা যাবেনা অথবা আমদানি করাও যাবে না।

সিলিং ফ্যানের নিয়মের পরিবর্তনের ক্ষেত্রে এমন নির্দেশিকা চলতি বছর সেপ্টেম্বর মাসে কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে জারি করা হয়েছিল। এক্ষেত্রে কোন বিক্রেতা যদি এই নিয়ম না মানেন এবং ধরা পড়েন তাহলে প্রথমবারের জন্য তাকে দু’লক্ষ টাকা জরিমানা করা হবে। বিপুল পরিমাণ এই টাকা জরিমানা করার পাশাপাশি দু’বছরের জেল হতে পারে। দ্বিতীয়বার একই অপরাধে ধরা পড়লে জরিমানার পরিমাণ হয়ে যাবে ৫ লক্ষ টাকা। নিয়মে এমন পরিবর্তন আনার কারণ হলো গ্রাহকদের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করা এবং কোয়ালিটি ও বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি করা।