Cambodia’s Angkor Wat Vishnu Temple has been ranked as the eighth wonder of the world: অবশেষে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইতে রোমান শহর পম্পেইকে হারিয়ে দিল কম্বোডিয়ার আঙ্করভাট মন্দিরের অনবদ্য স্থাপত্য ভাস্কর্য (Angkor Wat Vishnu Temple)। বিশ্বের অষ্টম আশ্চর্যের জায়গা আজ তার দখলে। এশিয়ার স্থাপত্য ভাস্কর্যের এ যেন এক বিরাট সম্মান। কবে তৈরি হয়েছে এই মন্দির? দ্বাদশ শতাব্দীতে রাজা দ্বিতীয় সূর্যবর্মন তৈরি করেছিল এই মন্দিরটি। বহুদিন আগেই এটি ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট তকমা পেয়েছিল ইউনেসকোর তরফ থেকে। এবার তার মুকুটে জুড়ল নয়া পালক।
বিশ্বের আশ্চর্যের তালিকায় জায়গা পেল এই মন্দিরটি (Angkor Wat Vishnu Temple)। প্রাচীন মন্দিরটির অপরুপ কারুকার্য আজও বিস্মিত করে পর্যটকদের। বিভিন্ন জায়গা থেকে পর্যটকদের ভিড় হামেশাই লেগে থাকে এশিয়ার এই প্রাচীন মন্দিরটিতে। মূলত স্থাপত্যের নিরিখেই আশ্চর্যের তালিকায় এই মন্দির জায়গা পেয়েছে। শুধু এশিয়া নয় গোটা বিশ্বের মানুষের কাছে এর গুরুত্ব অপরিসীম।
প্রাচীনকালে এটি ছিল একটি বিষ্ণু মন্দির (Angkor Wat Vishnu Temple)। কিন্তু পরে প্রাচ্যে হিন্দু ধর্মের সাথে সাথে বৌদ্ধ ধর্মও প্রাধান্য লাভ করতে থাকে। ফলে বিষ্ণুমন্দির পরিণত হয় বৌদ্ধমন্দিরে। মন্দিরটি স্থাপিত হয় ৫০০ একর জমির ওপর এবং এই মন্দিরের দেওয়ালে দেখা যায় হিন্দু ও বৌদ্ধ দুই ধর্মের সংস্কৃতির মেলবন্ধন। মন্দিরটির আকার কিন্তু একেবারে পদ্মের মত এবং এখানে দেওয়ালে খোদাই করা আছে হিন্দু ধর্মের নানা নির্দশন, প্রাচীন জীবনযাত্রার গল্পও। আপনি যদি এই মন্দিরে যান তাহলে সূর্যোদয়ের দৃশ্য দেখতে পারবেন একেবারে অন্যরকম। ভোরে মন্দিরটি ঢাকা পড়ে যায় গোলাপি আলোয়। কমলা আর সোনালি রঙের খেলা চলে মন্দিরের চূড়ায়।
বিশ্বের কাছে প্রাচীন যুগের সাতটি স্থাপত্য সপ্তম আশ্চর্য বলে পরিচিত। আমরা কমবেশি সবাই এ ব্যাপারে জানি। সেই তালিকায় রয়েছে পিরামিড, ব্যাবিলনের ঝুলন্ত উদ্যান, অলিম্পিয়ায় জিউসের মূর্তি, গ্রিসের ইফেসাসে দেবী আর্তেমিসের মন্দির, তুরস্কের হ্যালিকারনাসাসের সমাধি ঘর, রোডস দ্বীপে সূর্যদেবতা কলোসাসের মূর্তি আর আলেকজান্দ্রিয়ার বাতিঘর। পিরামিড ছাড়া সবই আজকালের নিয়মে ধ্বংসপ্রাপ্ত। তার মধ্যে এশিয়ার এই স্থাপত্য নিদর্শন সত্যিই আশ্চর্যজনক।
পৃথিবীতে এখনো বহু স্থাপত্য মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে, এদের মধ্যেই সপ্তম আশ্চর্যকে বেছে নেওয়ার জন্য ২০০১ সালে সুইত্জারল্যান্ডের জুরিখ শহরে New 7 Wonders Foundation নামে একটি বেসরকারি সংস্থা তৈরি হয়। পরবর্তীকালে ২০০৭ সালে লিসবনে ঘোষণা করা হয় নতুন সপ্তম আশ্চর্যের। তালিকাতে জায়গা করে নিয়েছে চিনের প্রাচীর, মেক্সিকোর মায়া সভ্যতার সময়ে তৈরি পিরামিড চিচেন ইত্জা, জর্ডনের পেত্রা, ইনকা সভ্যতার শহর পেরুর মাচুপিচু, রিও ডি জেনেইরোর ক্রাইস্ট দ্য রিডিমার, রোমের কলোজিয়াম আর ভারতের তাজমহল। সম্প্রতি এই তালিকায় যুক্ত হল অষ্টম আশ্চর্য অর্থাৎ আঙ্করভাট (Angkor Wat Vishnu Temple)।