নিজস্ব প্রতিবেদন : চলতি বছর গত কয়েক মাসে বঙ্গোপসাগরে (Bay of Bengal) বেশ কয়েকটি ঘূর্ণিঝড় (Cyclone) তৈরি হয়। বঙ্গোপসাগরের উপরিভাগের তাপমাত্রা বেশি থাকার কারণে এই সকল ঘূর্ণিঝড়ের উৎপত্তি হয়। দিন কয়েক আগেই বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় মিধিলি তাণ্ডব চালিয়েছিল। তবে বঙ্গোপসাগরে এবার একাধিক ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলেও সেগুলির কোনটির প্রভাব পশ্চিমবঙ্গের উপর পড়েনি।
এমন পরিস্থিতিতে নতুন করে একটি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হতে চলেছে বঙ্গোপসাগরে এবং সেই ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলে তার নাম হবে মিগজাউম (Cyclone Michaung)। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস থেকে জানা যাচ্ছে, আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের ওপর যে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছিল সেই ঘূর্ণাবর্ত ২৯ নভেম্বর অর্থাৎ বুধবার ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দেবে। ঘূর্ণাবর্তটি ধাপে ধাপে পশ্চিম ও উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে এবং ঘূর্ণিঝড়ের পরিণত হওয়ার পর তা উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোবে। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়তে শুরু করবে বঙ্গোপসাগর উপকূলবর্তী এলাকার স্থলভাগগুলিতে।
গত কয়েক মাসে বঙ্গোপসাগরে যেসব ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়েছিল সেই সকল ঘূর্ণিঝড়ের প্রত্যক্ষ প্রভাব পশ্চিমবঙ্গের উপর না পড়লেও এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়বে কিনা তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানা যাচ্ছে, এই ঘূর্ণিঝড় পশ্চিমবঙ্গের উপর প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়বে না। ঘূর্ণিঝড়টি তামিলনাড়ু উপকূলের দিকে এগিয়ে যাবে এবং শক্তিশালী রূপ নিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর উপকূল এলাকায় আছড়ে পড়বে।
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ১ ডিসেম্বর ঘূর্ণাবর্তটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার পর ফের একবার বাঁক নেবে এবং উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের দিকে এগিয়ে যাবে। এই ঘূর্ণিঝড় আরও শক্তি সঞ্চয় করে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় রূপে আগামী ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত উপকূলবর্তী রাজ্যগুলিতে প্রভাব বজায় রাখবে। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘূর্ণিঝড় নিয়ে তৈরি হচ্ছে দুশ্চিন্তা এবং এই ঘূর্ণিঝড় কোথায় ল্যান্ডফল হবে তা নিয়েও প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে।
বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া এই ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফল প্রসঙ্গে যা জানা গিয়েছে তা হল, এর ল্যান্ডফল হতে পারে উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ এবং দক্ষিণ উড়িষ্যার মধ্যবর্তী উপকূলে। ল্যান্ডফল হতে পারে আগামী ৫ ডিসেম্বর। শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হিসাবেই একটি আছড়ে পড়তে পারে। এর প্রভাব পশ্চিমবঙ্গের উপর প্রত্যক্ষভাবে না পড়লেও পশ্চিমবঙ্গের তাপমাত্রা উর্ধ্বমুখী হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।