নিজস্ব প্রতিবেদন : চলতি বছর সেপ্টেম্বর মাসের ২ তারিখ অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরি কোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল ভারতের প্রথম সূর্যাভিযান আদিত্য এল১ (Aditya L1)। উৎক্ষেপণের পর দেখতে দেখতে কেটে গিয়েছে ৯০ দিন। অনেকেই রয়েছেন যারা ইসরোর (ISRO) এই সূর্যাভিযানের কথা ভুলতে বসেছেন। তবে আদিত্য এল১ নিজের কাজ করে চলেছে। নিজের কাজ করতে গিয়েই এবার সূর্য নিয়ে বড় আপডেট পাঠালো ইসরোকে।
ইসরোর চন্দ্রযান ৩ বড় সফলতা এনে দেওয়ার পরই উৎক্ষেপণ করা হয় আদিত্য এল১ এর। চন্দ্রযান ৩ নিয়ে যখন গোটা বিশ্ব ভারতের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ঠিক সেই সময় সূর্য নিয়ে গবেষণার জন্য নতুন মিশন ভারতীয় মহাকাশ গবেষণাগারের নতুন প্রয়াস ভারতীয়দের মধ্যে আশার আলো জাগাতে শুরু করে। মহাকাশ গবেষণাতেও ভারত নতুন নতুন অধ্যায় লিখতে শুরু করেছে।
২ সেপ্টেম্বর সকালে যে আদিত্য এল১ উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল সেই মহাকাশযান পাড়ি দেবে ১৫ লক্ষ কিলোমিটার। তার এই পথ যেতে সময় লাগবে অন্ততপক্ষে চার মাস অর্থাৎ ১২০ দিন বা তার বেশি। তবে এই যাত্রা পথেই একাধিকবার আদিত্য এল১ মহাকাশ সম্পর্কে নানান তথ্য পাঠিয়েছে ইসরোকে। ঠিক সেই রকমই এবার যখন এই মহাকাশযান প্রায় ১১ লক্ষ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেওয়া সম্পূর্ণ করেছে তখন সেটি সূর্যের হাওয়া মেপে পাঠালো ইসরোকে।
আদিত্য এল১ এর মধ্যে একটি যন্ত্র রয়েছে যেটি সূর্যের বায়ুর গতিপ্রকৃতি মাপতে সক্ষম। সেই যন্ত্র দিয়েই দূর থেকে গতিপ্রকৃতি মাপছে আদিত্য এল১। আদিত্য এল১ সৌর বায়ু সম্পর্কিত এই যে তথ্য সংগ্রহ করেছে এবং তা ইসরোকে পাঠিয়েছে সেই সম্পর্কিত বিষয়টি শনিবার ইসরোর তরফ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে সকলের সামনে আনা হয়েছে। এই বিষয়টি সামনে আসার পরই একজন ভারতীয় হিসাবে ইসরোকে নিয়ে গর্বে বুক ভরে যাচ্ছে। চন্দ্রযান ৩ এর মতই আদিত্য এল১ সফল হোক এমনটাই চাইছেন প্রতিটি নাগরিক।
Aditya-L1 Mission:
The Solar Wind Ion Spectrometer (SWIS), the second instrument in the Aditya Solar wind Particle Experiment (ASPEX) payload is operational.
The histogram illustrates the energy variations in proton and alpha particle counts captured by SWIS over 2-days.… pic.twitter.com/I5BRBgeYY5
— ISRO (@isro) December 2, 2023
এদিন ইসরোর তরফ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখা হয়েছে, “সোলার উইন্ড আয়ন স্পেকটোমিটারটিকে সক্রিয় করা হয়েছে। এই যন্ত্রটি রয়েছে আদিত্য সোলার উইন্ড পার্টিকেল এক্সপেরিমেন্ট পেলোডের মধ্যে। এই যন্ত্র গত দুদিন ধরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেছে সৌর বায়ুর মধ্যে থাকা প্রোটন ও আলফা কণার শক্তির তারতম্য।” ইসরোর তরফ থেকে এমন তথ্য তুলে ধরার পাশাপাশি তাদের তরফ থেকে একটি গ্রাফের মাধ্যমে সেই পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে।