নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতে যে সকল তীর্থস্থান রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম এবং জনপ্রিয় তীর্থস্থান হল পুরীর জগন্নাথ মন্দির (Puri Jagannath Temple)। পুরীর এই জগন্নাথ মন্দিরে বাঙ্গালীদের ভিড় সারা বছর সবচেয়ে বেশি থাকলেও দেশ-বিদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকেও পুন্যার্থীদের আগমন হয়। প্রতিদিন বিভিন্ন জায়গা থেকে আগত পুণ্যার্থীদের সুযোগ সুবিধার কথা মাথায় রেখে নানান ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়ে থাকে মন্দির কর্তৃপক্ষ এবং প্রশাসনিক তরফে। ঠিক সেই রকমই এবার মন্দিরে প্রবেশের একটি নতুন পথ তৈরি করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
রথযাত্রা থেকে শুরু করে জগন্নাথ স্নান সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে পুণ্যার্থীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। এই সকল মুহূর্ত ছাড়াও অন্যান্য সময়েও দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে পুণ্যার্থীদের মন্দিরে প্রবেশ করতে হয়। পুণ্যার্থীদের এইভাবে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে মন্দিরে প্রবেশ করার জন্য কোনরকম শেড ছিলনা। যে কারণে রোদ, জল সব সহ্য করেই মন্দিরে প্রবেশ করতে হত। এই পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এবার সুড়ঙ্গের মতো করিডর তৈরি করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্দির কর্তৃপক্ষ এবং প্রশাসনের তরফ থেকে সুড়ঙ্গের মতো যে করিডর তৈরি করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে সেটি হবে বাতানুকূল। সাধারণত সিংহদ্বার দিয়েই মন্দিরে প্রবেশ করে থাকেন পুণ্যার্থীরা। তবে এবার যে বাতানুকূল করিডর তৈরি করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে সেটি করা হবে গ্র্যান্ড রোডের ওপর মরিচকোট স্কোয়্যার থেকে সিংহদ্বার পর্যন্ত। এমন সুড়ঙ্গ করিডরটি হতে চলেছে ৮৫ মিটারের।
পুরির মন্দিরের প্রবেশের জন্য এই যে বাতানুকূল করিডর তৈরি করা হতে চলেছে সেই বিষয়টি নিশ্চিত করে পুরীর সাব কালেক্টর ভাবাতারানা সাহু জানিয়েছেন, পুণ্যার্থীদের যাতে রোদে পুড়ে, জলে ভিজে কষ্ট সহ্য করে মন্দিরে প্রবেশ করতে না হয় তার জন্য এমন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ৮৫ মিটারের এমন সুড়ঙ্গ করিডর তৈরি করার জন্য প্রশাসনের তরফ থেকে স্টক হোল্ডারদের সঙ্গে কথাবার্তা চালানো হচ্ছে। খুব তাড়াতাড়ি এমন সুড়ঙ্গ করিডর তৈরি করার জন্য কাজ শুরু হয়ে যাবে।
পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের জনপ্রিয়তা নিয়ে কোন প্রশ্ন নেই। এখানকার এই মন্দিরে বহু বৃদ্ধ মানুষেরাও এসে থাকেন জগন্নাথ দেব দর্শন এবং পুজো দেওয়ার জন্য। তাদের কথা মাথায় রেখে আগেই মন্দির চত্বরে আলাদা করে শেড, চেয়ার এবং পানীয় জলের বন্দোবস্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এই ব্যবস্থা জানুয়ারি মাসে শুরু হয়ে যাবে বলে জানা যাচ্ছে। বৃদ্ধদের জন্য এমন বিশেষ ব্যবস্থার পাশাপাশি এবার সুড়ঙ্গ করিডর পুণ্যার্থীদের কাছে বড় প্রাপ্তি বলেই মনে করা হচ্ছে।