নিজস্ব প্রতিবেদন : বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘটনা নিম্নচাপ এবং নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার পর শক্তি বৃদ্ধি করে তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে (Severe Cyclone Michaung) পরিণত হয়। এরপর সেই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে। ঘূর্ণিঝড়টি আছড়ে পড়ার সময় গতিবেগ ছিল ঘন্টায় ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার। এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেওয়া হয়েছে মিগজাউম। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তামিলনাড়ুতে।
বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পশ্চিমবঙ্গের উপর সরাসরি না পড়লেও পরোক্ষ প্রভাব ইতিমধ্যেই লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ইতিমধ্যেই মঙ্গলবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলাতে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। বুধবার বৃষ্টির পরিমাণ বেড়েছে এবং দক্ষিণবঙ্গের ১৭ জেলায় সকাল থেকেই হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। মেঘলা আকাশ এবং বৃষ্টির ফলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পারদও বেড়েছে।
বুধবার উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, কলকাতা, হুগলি, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদীয়ায় ইতিমধ্যেই দফায় দফায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আকাশ কালো মেঘে ঢাকা পড়ার পাশাপাশি স্বাভাবিকভাবেই সকাল থেকে দেখা নেই সূর্যের। শীতের মরশুমে এমন বৃষ্টিতে স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়া তৈরি হয়েছে।
শীতের মরশুমে এমন স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়া কর্মক্ষেত্রে বহু মানুষের অসুবিধার কারণ হয়ে দাঁড়ানোর পাশাপাশি অসুবিধার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে শীতকালীন ফসলে। এমন পরিস্থিতিতে দক্ষিণবঙ্গের বাসিন্দাদের মনে একটি প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে আর সেই প্রশ্নটি হল কবে এমন পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে? হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী কবে এমন পরিস্থিতি থেকে মুক্তি মিলবে চলুন দেখে নেওয়া যাক।
ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের পরোক্ষভাবে সোমবার থেকেই আবহাওয়ায় আমূল পরিবর্তন আসবে বলে আগেই পূর্বাভাসে জানানো হয়েছিল আলিপুর হাওয়া অফিসের তরফ থেকে। সেই পূর্বাভাস সত্যি করেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এখন হাওয়া অফিসের তরফ থেকে যা জানা যাচ্ছে তাতে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এমন বৃষ্টি চলতে পারে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এমন স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়া বজায় থাকবে। শুক্রবার থেকে আবহাওয়াই পরিবর্তন আসবে। শুক্রবার থেকে আবহাওয়ার উন্নতি হওয়ার পাশাপাশি সূর্যের দেখা মিলবে। এরই সঙ্গে সঙ্গে জানানো হয়েছে, মেঘ কাটলেই দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমের জেলাগুলির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ থেকে ৭ ডিগ্রি কমে যাবে। কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কমবে ৩ ডিগ্রী।