নিজস্ব প্রতিবেদন : কোটিপতি হওয়ার স্বপ্ন বহু মানুষই দেখে থাকেন। তবে সেই স্বপ্ন সবার পক্ষে পূরণ করা সম্ভব হয় না। ইদানিংকালে বেশকিছু মানুষ লটারির টিকিটের দৌলতে কোটিপতি হয়ে উঠছেন রাতারাতি। ঠিক সেই রকমই মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রেজিনগর থানার অন্তর্গত তকিপুর পশ্চিমপাড়া মসজিদ সংলগ্ন এলাকার এক বাসিন্দা লটারি টিকিট কেটে কোটিপতি হলেন। সোমবার তিনি ওই টিকিট (Dear Lottery) কাটেন এবং তারপর রেজাল্ট বের হতেই দেখা যায় প্রথম পুরস্কার এসেছে টিকিট। তবে এরপরেই ওই ব্যক্তি লটারিকেই বিসর্জন দিয়ে দিলেন।
জানা গিয়েছে, সামশের মল্লিক নামে ওই ব্যক্তি একজন বিড়ি শ্রমিক। বিড়ি বাঁধার কাজ করেই তিনি সংসার চালান। তবে নিজের ভাগ্য ফেরানোর জন্য প্রায়ই প্রতিদিনই তিনি লটারি টিকিট কাটতেন। সেইমত সোমবার দেড়শ টাকার টিকিট কেটেছিলেন। এলাকার মসজিদ সংলগ্ন একটি লটারির দোকান থেকে তিনি ওই টিকিট কেটেছিলেন এবং পরে রেজাল্ট বের হতেই এমন চমক দেখতে পান।
সামশের মল্লিকের বড়লোক হওয়ার এতটাই স্বপ্ন ছিল যে তার নিজের কাছে টাকা না থাকলেও তিনি লোকের কাছে টাকা ধার করে লটারির টিকিট ক্রয় করতেন। এমনকি সোমবারও তিনি যে টিকিট কিনেছিলেন সেই টিকিটটাও একজনের কাছ থেকে টাকা ধার করে কিনেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। তবে ধার করে কেনা ওই লটারির টিকিটই সোমবার রাত আটটায় তার ভাগ্য বদলে দেয়। তাকে মাত্র কয়েক ঘণ্টাতেই কোটিপতি করে তোলে ওই টিকিট।
লটারিতে প্রথম পুরস্কার পাওয়ার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি আনন্দে আত্মহারা হয়ে ওঠেন এবং প্রথমদিকে কূলকিনারা খুঁজে পাচ্ছিলেন না কি করবেন। তবে পরে পরিস্থিতি সামলে টাকা ভাঙ্গানোর জন্য পরবর্তী পদক্ষেপগুলি নিতে শুরু করেন। সামশের মল্লিকের দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। তবে এই তিনজনের মধ্যে একজন আবার বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন। এখন কোটিপতি হয়ে শামসের বাবু তার ওই বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন সন্তানকে পড়াশোনা করাতে চান।
অন্যদিকে লটারিতে এই প্রথম এক কোটি টাকা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন আর জীবনে কোনদিন লটারির টিকিট কাটবেন না। কারণ হিসাবে তিনি জানিয়েছেন, তার যা স্বপ্ন ছিল সব স্বপ্ন একটি টিকিটেই পূরণ হয়ে গিয়েছে। এখন আর তিনি টিকিট কেটে অযথা টাকা খরচ করতে চান না অথবা যা হয়েছে সেটা হারিয়ে ফেলতে চান না।