The latest update about Biometric of LPG is known: ক্রমাগত গ্যাসের দাম বৃদ্ধিতে এমনিতেই চিন্তায় সাধারণ জনগণ। এবার থেকে সংযোজন হলো নতুন চিন্তার। গ্যাস সিলিন্ডারের জন্য যদি ভর্তুকি পেতে চান নিশ্চিতরূপে প্রয়োজন হবে বায়োমেট্রিকের। আপনি যদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বায়োমেট্রিক না করান, বন্ধ হয়ে যেতে পারে ভর্তুকি। তাহলে এখন উপায়? কেন্দ্রের এই নির্দেশিকা ঘিরে সাধারণ মানুষের মধ্যে তৈরি হয়েছে বিভ্রান্তি। কেন্দ্রর নিয়ম অনুসারে ভর্তুকিযুক্ত গ্যাস সিলিন্ডার প্রাপকদের বায়োমেট্রিক আপডেট করা (LPG Biometric Update)বাধ্যতামূলক। তবে এই বিষয়ে এখনো অবধি কেন্দ্রের তরফে নির্দিষ্ট কোনও সময়সীমার কথা বলা হয়নি। ডিলাররা অবশ্য দাবি করেছে, এবছরের মধ্যেই সব লিঙ্ক করাতে হবে। হাতে আর মাত্র একটা সময়। কিন্তু অল্প সময়ে কিভাবে এই বিরাট সংখ্যক গ্রাহকের বায়োমেট্রিক নেওয়া ও তা আধার কার্ডের সঙ্গে লিঙ্ক করা হবে সেটাই বড় প্রশ্ন। তাহলে কি গ্রাহকদের আবার নোটবন্দির মতো লম্বা লাইনে দাঁড়াতে হবে?
আপনারা নিশ্চয়ই জানেন গ্যাসের দোকানে গিয়ে বায়োমেট্রিক আপডেট করার (LPG Biometric Update) জন্য অপেক্ষা করতে হয়। কিন্তু গ্রাহকদের আর দোকানে লাইন দিতে হবে না। জানলে অবাক হবেন গ্যাস ডিলাররা নিজেরাই পৌঁছে যাবেন গ্রাহকের দরজায়। গ্রাহকরা কীভাবে করবেন এই বায়োমেট্রিক আপডেট? তার পদ্ধতিও জানানো হয়েছে। আপনাদের বাড়িতে যারা এলপিজি সিলিন্ডার ডেলিভারি করতে যাবেন তারাই বায়োমেট্রিক আপডেট করিয়ে নেবেন। এই কাজের জন্য ডেলিভারিম্যানদের মোবাইলে থাকবে একটি বিশেষ অ্যাপ এবং তার মধ্যে দিয়েই গ্রাহকের আঙুলের ছাপ বা মুখের ছবি স্ক্যান হবে। এরপর সেই তথ্য তোলা হবে নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে।
এই পদ্ধতি সবার প্রথমে প্রয়োগ করা হবে উজ্জ্বলা যোজনার আওতায় থাকা মহিলাদের উপর। গ্রাহকদের বায়োমেট্রিক সংগ্রহ করা হবে এবং গ্রাহক চাইলে গ্যাস ডিলার বা ডিস্ট্রিবিউটরের অফিসে গিয়েও কেওয়াইসি তথ্য ও বায়োমেট্রিক জমা করতে পারবে(LPG Biometric Update)। কিন্তু সময়সীমা সম্পর্কে আমরা কেউ জানিনা। আদৌ কি ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে গোটা দেশে বায়োমেট্রিক আপডেট করা সম্ভব? অনেক সময়ই যার নামে গ্যাস সিলিন্ডার থাকে, তিনি বাড়িতে অনুপস্থিত থাকেন। তার বায়োমেট্রিক কী ভাবে সংগ্রহ করা হবে?
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে লম্বা ছুটি থাকে বড়দিন উপলক্ষে। তাই দেশের সব এলপিজি গ্রাহকের বায়োমেট্রিক (LPG Biometric Update)সংগ্রহ করা তাও আবার এই অল্প সময়ে সত্যি অসম্ভব। সরকারের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে কোনরকম জনস্বার্থমূলক প্রচার হয়নি তাই বহু মানুষ এখনও কিছুই জানেন না। তারা হঠাত্ ডেলিভারিম্যানকে আঙুলের ছাপ বা মুখে ছবি স্ক্যান করার অনুমতি নাও দিতে পারেন। তাহলে এক্ষেত্রে সরকার কি ভাবছে?
ভয়ের বিষয় তো অবশ্যই আছে তা হল কেওয়াইসি ঘিরে প্রতারণা। কয়েক মাস আগেই এইপিএস (AEPS) পদ্ধতিতে প্রতারণার একটি বিষয় সবার সামনে এসেছে। গ্রাহকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে নিমেষেই গায়েব হয়ে যাচ্ছিল অনেক টাকা। বায়োমেট্রিক তথ্যের অপব্যবহার করেই এই প্রতারণার জাল বোনা হচ্ছে। জমির রেজিস্ট্রি থেকে শুরু করে রেশন বা সাধারণ ফোনের সিম তোলার ক্ষেত্রেও বায়োমেট্রিক বাধ্যতামূলক। প্রতারকরা এরই সুযোগ নিয়েছে। রান্নার গ্যাসের জন্য বায়োমেট্রিকের বিষয়টি সামনে আসতেই তথ্যের সুরক্ষা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।