নিজস্ব প্রতিবেদন : জীবন বীমার ক্ষেত্রে বর্তমানে ভারতের মতো দেশে বিভিন্ন সংস্থা কাজ শুরু করলেও লাইফ ইন্সুরেন্স কর্পোরেশন (LIC) এর তুলনা হয় না বললেই চলে। কেননা দেশের বড় সংখ্যার মানুষ এই সংস্থার উপর ভরসা রাখেন এবং তারা প্রতিনিয়ত এই সংস্থায় বিনিয়োগ করে চলেছেন। এলআইসির ওপর এমন ভরসার পিছনে রয়েছে সরকারের অংশীদারিত্ব। কেন্দ্র সরকার অধীনস্থ এই সংস্থা এবার তাদের গ্রাহকদের জন্য গর্বে বুক ভরানো খবর দিল। কেননা এই সংস্থার মুকুটে এবার নতুন পালক যুক্ত হল।
এলআইসির উপর সাধারণ মানুষদের যেভাবে ভরসা লক্ষ্য করা যায় সেই ভরসা সত্যিই অন্য কোন সংস্থার উপর করতে পারেন না তারা। যে কারণে প্রতিনিয়ত এই সংস্থায় বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ বেড়ে চলেছে। প্রতিনিয়ত বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা এবং গ্রাহকদের স্বচ্ছ ভাবে পরিষেবা দেওয়ার জন্য এখন এলআইসি বিশ্বের চতুর্থ আন্তর্জাতিক বীমা সংস্থা হিসাবে জায়গা করে নিয়েছে। এই খবর যেকোনো গ্রাহকদের কাছেই সুখবর।
বিশ্বে যে সকল বীমা সংস্থা রয়েছে সেই সকল বীমা সংস্থার তালিকায় ৫০ নম্বরে জায়গা করা মানেই বিরাট এক প্রাপ্তি। এলআইসি এই তালিকায় ৫০ এর মধ্যে জায়গা করে নেওয়ার পাশাপাশি এখন চতুর্থ স্থান দখল করতে সক্ষম হয়েছে। ভারতের সবচেয়ে শক্তিশালী এবং সর্বোচ্চ বীমা সংস্থা হিসাবে এলআইসি আন্তর্জাতিক স্তরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বড় বড় সংস্থাকে পিছনে ফেলে চার নম্বর তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে।
এলআইসিকে এমন স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে এস অ্যান্ড পি গ্লোবাল মার্কেট ইন্টেলিজেন্স-এর তরফ থেকে। এই স্বীকৃতি দেওয়ার পাশাপাশি তাদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ভারতের বৃহত্তম এই বীমা সংস্থাটি দিন দিন তাদের আর্থিক শ্রীবৃদ্ধি করে চলেছে। আন্তর্জাতিক স্তরে তারা দিন দিন শীর্ষস্থান দখলের দিকে এগিয়ে চলেছে। বিশ্বের তাবড় তাবড় বীমা সংস্থাগুলিকে পিছনে ফেলে এখন এলআইসি চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে।
এলআইসিকে এমন স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে মূলত ২০২২ সালে জীবন বীমা, দুর্ঘটনা বীমা এবং স্বাস্থ্য বীমা ভিত্তিতে। বিমার সংখ্যা এবং আর্থিক বৃদ্ধির পাশাপাশি গ্রাহকদের পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রেও এই সংস্থার তুলনা হয় না। আন্তর্জাতিক স্তরে যে তালিকা বের করা হয়েছে সেই তালিকায় এশিয়ার ১৭টি সংস্থা ঠাঁই পেয়েছে প্রথম পঞ্চাশে। সবচেয়ে উপরের দিকে রয়েছে, জার্মান, চীন ও জাপানের সংস্থা। তবে তাদের থেকে সামান্য পিছিয়ে রয়েছে ভারতের এই সংস্থাটি।