নিজস্ব প্রতিবেদন : নদীয়ার কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra) বিভিন্ন সময় বিতর্কিত মন্তব্য থেকে কাজ কর্মের জন্য আলোচনা সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে থাকেন। এবার নগদ টাকা ও উপহারের বদলে আদানি ইস্যুতে সংসদে প্রশ্ন করার অভিযোগে এথিক্স কমিটি তদন্ত করে এবং সেই তদন্তের পর ধ্বনিভোটে সংসদ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়। তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে এমন গুরুতর অভিযোগ এনেছিলেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে।
মহুয়া মৈত্রকে সংসদ থেকে বহিষ্কার করার পর বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে নানান ধরনের মতামত তৈরি হয়েছে। কেউ কেউ মহুয়া মৈত্রের পাশে থেকে তার বিভিন্ন পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন। আবার কেউ কেউ মহুয়া মৈত্রকে বহিষ্কার করা উপযুক্ত সিদ্ধান্ত বলেই দাবি করেছেন। মহুয়া মৈত্রকে এইভাবে সংসদ থেকে বহিষ্কার করার ফলে তিনি কেবল পদ হারালেন এমন নয়, এর পাশাপাশি হারিয়েছেন একাধিক সুবিধা। এই সকল সুবিধা হারানোর পরিপ্রেক্ষিতে মহুয়ার লক্ষ লক্ষ টাকা ক্ষতি হবে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।
সংসদ থেকে বহিষ্কার হওয়ার পর কি কি সুবিধা পাবেন না মহুয়া মৈত্র?
‘দু’পয়সার সাংবাদিক’ থেকে ‘ঘরে ছেলে ঢোকানো’! মহুয়া দিদি, তাপস দাদার এই ৩ কীর্তিতে চর্চায় কৃষ্ণনগর
১) সংসদ থেকে বহিষ্কার হওয়ার পর মহুয়া মৈত্র আর বেতন এবং ভাতা পাবেন না। ভারতীয় সাংসদরা প্রতি মাসে ১ লক্ষ টাকা বেতন এবং নিজের এলাকায় খরচের জন্য ৭০ হাজার টাকা পান। মহুয়া মৈত্রের মেয়াদ এখনো পর্যন্ত প্রায় ৬ মাস ছিল। এক্ষেত্রে এই দুই বাবদই তার ১০ লক্ষ টাকার বেশি লোকসান হবে।
২) সংসদ থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পর দিল্লির সরকারি বাংলোতে আর থাকতে পাবেন না তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। সেখান থেকে তাকে পাত্তারি গুটিয়ে চলে যেতে হবে। দিল্লির মতো জায়গায় সরকারি বিলাসবহুল সুবিধাসম্পন্ন বাংলোয় থাকতে হলে কত খরচ হতে পারে প্রত্যেকের মধ্যেই কমবেশি আন্দাজ রয়েছে। এই সুযোগও এবার হাতছাড়া হলো মহুয়া মৈত্রের।
৩) সংসদ হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারলেই অফিস চালানোর জন্য প্রতি মাসে ৪০ হাজার টাকা এবং কর্মীদের বেতনের জন্য প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা পাওয়া যায়। সাংসদ পদ খোয়ানোর পর আর মহুয়া মৈত্র এমন সুবিধা পাবেন না অর্থাৎ প্রতি মাসে ৬০০০০ টাকা থেকে বঞ্চিত হবেন।
৪) এখানেই শেষ নয়, এর পাশাপাশি সাংসদ পদ হাতছাড়া হতেই মহুয়া মৈত্র হাতছাড়া করলেন দিল্লির বাংলোর বিনামূল্যে টেলিফোন কানেকশন, দেড় লক্ষ ফোন কল, বিনামূল্যে ৫০ হাজার ইউনিট ইলেকট্রিক বিল, ৪০০০ কিলোমিটার জলের পরিষেবা।
৫) এর পাশাপাশি সাংসদ পদ খোয়া যেতেই খোয়া গেল বিনামূল্যে ট্রেন এবং বিমানে ভ্রমণ। এমনকি সাংসদরা গাড়ি কেনার জন্য যে বিশেষ সুবিধা পেয়ে থাকেন সেই বিশেষ সুবিধাও আর পাবেন না মহুয়া মৈত্র।