বেঙ্গল বিজনেস সামিট থেকেই হীরানন্দানি-মহুয়া বন্ধুত্ব! তারপরই শুরু হয় বড় বড় উপহারের আব্দার

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : ক্যাশ ফোর কোয়ারি (Cash For Query) কান্ড এখন দেশজুড়ে উত্তাল রাজনৈতিক পরিস্থিতি তৈরি করেছে। টাকা এবং উপহারের বিনিময়ে লোকসভায় প্রশ্ন করার অভিযোগে মহুয়া মৈত্রকে (Mahua Moitra) সংসদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। এই ঘটনা সামনে আসার পর থেকেই মহুয়া মৈত্রকে নিয়ে নানান বিষয়ে সামনে আসে। জানা যায়, সংসদের ইমেল আইডি ও পাসওয়ার্ড তিনি ভাগ করে নিয়েছিলেন তার বন্ধু ব্যবসায়ী দর্শন হীরানন্দানির (Darshan Hiranandani) সঙ্গে।

Advertisements

দর্শন হীরানন্দানি কে এবং তার সঙ্গে কিভাবে মহুয়া মৈত্রর এমন বন্ধুত্ব তৈরি হলো তা নিয়ে অনেক কৌতূহল জন্মায় দেশের মানুষদের মধ্যে। এছাড়াও ওই ব্যবসায়ীর থেকে মহুয়া মৈত্র কি কি উপহার পেতেন তা সম্পর্কেও কৌতূহলের শেষ নেই। যদিও মহুয়া মৈত্র এই সকল সমস্ত অভিযোগের বিরুদ্ধে নিজের স্বপক্ষে যুক্তি পেশ করেছেন এবং সম্প্রতি তিনি তার বহিষ্কারের প্রতিবাদে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন।

Advertisements

দর্শন হীরানন্দানি হলেন একজন দুবাই ভিত্তিক ব্যবসায়ী। তিনি হীরানন্দানি গোষ্ঠীর সিইও। মূলত তাদের রিয়েল এস্টেট এবং নির্মাণ শিল্পের ব্যবসা রয়েছে। ক্যাশ ফোর কোয়ারি কান্ড সামনে আসার পর ব্যবসায়ী দর্শন হীরানন্দানি হলফনামায় অনেক কিছু স্বীকার করেছেন এবং সেই হলফনামা থেকেই বহু কিছু সামনে এসেছে। যে হলফনামায় ওই ব্যবসায়ী স্বীকার করে নিয়েছেন তার থেকে মহুয়া অনেক উপহার চাইতেন এবং তাকে সংসদের লগ-ইন আইডি দেওয়া হয়েছিল।

Advertisements

আরও পড়ুন ? পার্লামেন্ট থেকে বহিষ্কার! ‘তোদের’ চিতায় তুলতে এবার বড় পদক্ষেপ মহুয়ার

মহুয়া মৈত্রের সঙ্গে ব্যবসায়ী দর্শন হীরানন্দানির প্রথম পরিচয় হয়েছিল বেঙ্গল বিজনেস সামিটে। ২০১৭ সালে দর্শন হীরানন্দানি বেঙ্গল বিজনেস সামিটে যোগদানের জন্য কলকাতায় এসেছিলেন। তারপর থেকেই তার সঙ্গে মহুয়ার বন্ধুত্ব গাঢ় হয়। হিরানন্দানি মনে করতেন, বিরোধী দল শাসিত যে সকল রাজ্য রয়েছে সেই সকল রাজ্যে তিনি মহুয়ার হাত ধরে অনেক কাজ পেতে পারেন। কেননা মহুয়ার সঙ্গে রাহুল গান্ধী, শশী থারুর, পিনাকী মিত্রের মত ব্যক্তিদের ঘনিষ্ঠতা ছিল।

ব্যবসায়ির থেকে মহুয়া কি কি উপহার আব্দার করতেন? হিরানন্দানীর হলফনামা থেকে জানা যায়, মহুয়া মৈত্র মাঝে মাঝেই নানান আবদার করতেন ব্যবসায়ীকে। বিলাসবহুল বিভিন্ন ধরনের সামগ্রীর পাশাপাশি দিল্লির সরকারি বাসভবন সংস্কার করিয়ে দেওয়া ইত্যাদির আবদার করতেন। এছাড়াও ছুটি কাটানো এবং ঘুরতে যাওয়ার খরচের জন্য আবদার করতেন। যদিও মহুয়া মৈত্র এই সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন, এমনকি যে হলফনামার কথা বলা হচ্ছে তার সত্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।

Advertisements