The history of the origin of the name famous Sweet Langcha of Shaktigarh: খেতে কে না ভালোবাসে? তাও যদি আবার মিষ্টি হয়। খাবার খাওয়ার সময় শেষ পাতে মিষ্টি না হলে ঠিক মন ভরে না। চিনি বা গুড়ের রসে ভেজানো পান্তুয়া হোক, রসগোল্লা হোক বা কড়া পাকের তৈরি সন্দেশ। নাম যেমন মিষ্টি তার স্বাদও তেমন। তেমনি এক অত্যন্ত সুস্বাদু মিষ্টি হলো ল্যাংচা। যার আঁতুর ঘর পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড়। তবে মিষ্টির নাম বিষয়ে রয়েছে এক কাহিনী (History of langcha)। যা থেকেই সৃষ্টি এই মিষ্টির নামকরণ। জেনে নিন ল্যাংচা নামকরণের কাহিনী।
আগে জেনে নেওয়া যাক এই ল্যাংচা মিষ্টি তৈরীর উপকরণ সহ মিষ্টির আকৃতি, রং সম্পর্কে। ময়দা, খোয়া ক্ষীর, চিনি সহযোগে তৈরি হয় এই ল্যাংচা মিষ্টি। যার আকার লম্বাটে। কালো অথবা বাদামি রঙের লম্বাটে দেখতে হয় এই মিষ্টিগুলিকে। যেমন নাম তেমনি স্বাদ এই মিষ্টির। তবে জেনে নেওয়া যাক এই নামের উৎপত্তির কাহিনী।
জানা যায় শক্তিগড়ের ল্যাংচা নামকরণ নিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তিদের বিভিন্ন মতামত রয়েছে। তবে এই মিষ্টির নামকরণের কাহিনীর (History of langcha) উল্লেখ পাওয়া যায় বিশিষ্ট সাহিত্যিক নারায়ণ সান্যালের রূপমঞ্জরী উপন্যাসে। মূলত কৃষ্ণনগরের রাজকন্যার মধ্য দিয়ে উৎপত্তি এই মিষ্টির নামকরণ। বর্ধমানের ময়রার সাথে এই মিষ্টির নামকরণের যোগসূত্র রয়েছে।
আরও পড়ুন ? চন্দ্রযান ৩ এবার মিষ্টির দোকানে, ওজন ৯০ কেজি! মিলবে এই জেলায়
কাহিনী অনুসারে জানা যায়, কৃষ্ণনগরের রাজা তিলকচাঁদের কন্যার সাথে বিবাহ হয় বর্ধমানের রাজার পুত্রের। বিবাহের বেশ কিছুদিন পর গর্ভবতী হন রাজকন্যা। মেয়েকে নিজের বাড়ি আনেন কৃষ্ণনগর রাজা তিলকচাঁদ। কিন্তু বাপের বাড়িতে এসে তার কোনো খাবারই মুখে রোচেনা। স্বাদ হারিয়ে বাবাকে মহা বিপদে ফেলেন রাজকুমারী। তাহলে এবার কি হবে?
পরবর্তীতে রাজকুমারী জানান, তিনি তার শশুরবাড়ির নিকটে এক ময়রার হাতের তৈরি কালো রঙের ভাজা মিষ্টি রসে ডুবিয়ে খেলেই স্বাদ ফিরে আসবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত রাজকুমারী সেই ময়রার নাম বলতে পারেনা। তবে চিহ্নিতকরণ হিসেবে তিনি জানান ওই ময়রার এক পা খোঁড়া। সেই শুনে মেয়ের রুচি ফেরাতে বর্ধমানের ওই ময়রাকে রাজ বাড়িতে নিয়ে এসে সেই মিষ্টি তৈরি করে খাইয়ে মেয়ের রুচি ফেরান রাজা তিলকচাঁদ। এই মিষ্টির প্রতি প্রেমে পড়ে স্বয়ং রাজাও। শোনা যায় এই মিষ্টি যে ময়রা তৈরি করেছিলেন সেই ময়রা খোঁড়া ছিলেন এবং লেংচে চলতেন। সেই থেকেই এই মিষ্টির নাম ল্যাংচা হয় (History of langcha)।