China’s economic recession appeared as the job market collapsed: কথায় আছে চিরকাল কারোর সময় এক থাকেনা। জীবনচক্র চাকার মতোই ঘুরতে থাকে তাই কখনো ভালো এবং কখনো খারাপের সম্মুখীন আপনাকে হতেই হবে। শুধু জীবন নয় অর্থনৈতিক অবস্থারও পরিবর্তন ঘটে যেমন বর্তমানে চিনের অর্থনীতি ভাঙনের পথে (Economic Recession in China)। মুদ্রাস্ফীতির হার কমছে লাফিয়ে লাফিয়ে এবং রপ্তানি এখন তলানিতে। সমানতালে দেশে বাড়ছে বেকারত্ব। বিশেষজ্ঞদের একাংশ অবশ্য বলেছেন যে এরকম পরিস্থিতি চলতে থাকলে খুব শিগগিরই বিশ্বের শক্তিশালী অর্থনৈতিক দেশের তালিকা থেকে বাদ পড়ে যাবে বেজিং এর নাম। একটি প্রতিবেদন মারফত জানা যায় যে, গত তিন বছরের মধ্যে চিনের অর্থনীতি সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে। গত বছরের তুলনাতেও চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত বেজিংয়ের মুদ্রাস্ফীতির হার ০.৫ শতাংশে নেমে এসেছে। অভ্যন্তরীণ বাজারে চাহিদা কমে যাওয়ায় এই পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।
দেশের মুদ্রাস্ফীতি যখনই কমবে তখন জিনিসপত্রের দাম অনেকটা সস্তা হবে এবং এর সম্পূর্ণ সুযোগ পাবে আমজনতা। বর্তমানে কেমন যে অর্থনৈতিক অবস্থা? বিশেষজ্ঞদের দাবি, কোনও দেশে মুদ্রাস্ফীতির হার অস্বাভাবিক কমে গেলে জিনিসের দাম হু হু করে পড়তে থাকে। বড় বড় শিল্প-সংস্থা গুলো এর ফলে ক্ষতির সম্মুখীন হয়। উৎপাদন খরচের চেয়ে অনেক কম দামে বিক্রি করতে হয় আম জনতার নিত্য দিনের ব্যবহার করা সামগ্রী। আশঙ্কা করা যাচ্ছে চিনের অর্থনীতি (Economic Recession in China) সে দিকেই এগোবে।
এর পেছনের আসল কারণ কি আদৌ জানা আছে আপনার? মুদ্রাস্ফীতির হার কমার পিছনে প্রথম কারণ হলো রফতানি ঘাটতি। ভাবলে অবাক হবেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ালমার্টের মতো বড় বিপণনী সংস্থা বেজিং থেকে জিনিসপত্র আমদানির পরিমাণ আগের থেকে অনেকাংশে কমিয়ে দিয়েছে। আইফোন প্রস্তুতকারী সংস্থা অ্যাপেল তাঁদের মোবাইলের ব্যাটারি তৈরির জন্য বেছে নিয়েছে ভারতকে। রফতানির গ্রাফ হঠাৎ করে নেমে যাওয়ায় বড় ধাক্কা খেয়েছে চিনের অর্থনীতি (Economic Recession in China)।
দেশের অর্থনৈতিক মন্দার (Economic Recession in China) অন্যতম কারণ হিসেবে করোনার পরবর্তী পরিস্থিতিকেও দায়ী করছে বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের যুক্তি, চিনির বিভিন্ন বড় বড় শিল্প সংস্থা ২০২০ সালের পর বন্ধ হয়ে গেছে। বেকারত্বের সংখ্যা এর ফলে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। গত বছর থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও চিনা নাগরিকরা জিনিসপত্র কেনার পরিমাণ মাত্রাতিরিক্ত ভাবে কমিয়েছেন। দেশের প্রত্যেকটা নাগরিক খরচ করছে খুবই বুঝে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়র জনপ্রিয়তায় ভাঁটা পড়ায় তা মুদ্রাস্ফীতিতে প্রভাব ফেলেছে। সবথেকে বড় ব্যাপার হল চিনের সরকারের উপর বড় বড় চিনা উদ্যোগপতিদের আর কোন ভরসা নেই। সেই জন্য দু’তিন বছরে দেশের বাইরে বিশেষত জাপানে বিনিয়োগ করেছেন। এছাড়াও দেশের মুসলিমেও কয়েকজন মানুষ একেবারে দেশ ছেড়ে চলে গেছেন অন্য দেশে। ফলে রিয়েল এস্টেট, শেয়ার বাজার বা বিমা ক্ষেত্রের মতো গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক ক্ষেত্রগুলিতে বিনিয়োগ কমছে।