A huge amount of money is being invested in the country around the Ram Mandir in Ayodhya: বহুদিন ধরেই মানুষ অপেক্ষায় আছে অযোধ্যার রামমন্দির (Ram Mandir in Ayodhya) তৈরি হবার জন্য। এই মন্দিরকে নিয়ে সাধারণ মানুষের কৌতূহলের শেষ নেই। অযোধ্যায় শুধুমাত্র রামমন্দিরকে যে সুন্দর করে গড়ে তোলা হচ্ছে তা নয়, অযোধ্যাকে বিশ্বমানের শহরে পরিণত করা হচ্ছে পাশাপাশি। এই উন্নয়নের খাতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার মিলে খরচ করেছি প্রায় ৩০.৫ হাজার কোটি টাকা। মোট ১৭৮ টি প্রজেক্টের মাধ্যমে শহরকে সর্ব দিক থেকে উৎকৃষ্ট করে তোলার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। এই প্রজেক্টগুলো ছাড়াও শহরকে সৌরশক্তি ভিত্তিক নগর হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে।
ঐতিহাসিক সূত্র মারফত জানা গেছে যে, প্রাচীন যুগে অযোধ্যার চেয়ে গৌরব ছিল তা ম্লান হয়ে গেছে বৈদেশিক শক্তির আক্রমণ এবং ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকতার যুগে। সেটাই পুনঃরুদ্ধারের জন্য উত্তপ্রদেশের ডাবল-ইঞ্জিন সরকার জোরকদমে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নির্দেশ অনুযায়ী, মোট 8টি ধারণার উপর ভিত্তি করে অযোধ্যার উন্নয়নের কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। রামমন্দির (Ram Mandir in Ayodhya) হলো অযোধ্যার প্রাণকেন্দ্র তাই তাকে সুন্দর করে গড়ে তোলার দায়িত্ব কেন্দ্র এবং রাজ্য দুই সরকারের।
পুরান অনুযায়ী, শ্রী রামচন্দ্রের জন্মস্থান অযোধ্যাকে তৈরি করেছিলেন স্বয়ং দেবতারা। এই শহরের উল্লেখ রয়েছে বেদ ও পুরাণের মতো গ্রন্থগুলোতেও। বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার ২০১৪ সালে এবং ২০১৭ সালে উত্তরপ্রদেশে যোগী সরকার অযোধ্যার উন্নতির জন্য একটি ব্লুপ্রিন্ট তৈরি করে (Ram Mandir in Ayodhya)। শহরটিকে বিশ্বমানের শহর হিসেবে গড়ে তোলার জন্য খরচ হচ্ছে প্রায় ৩০,৫০০ কোটি টাকার এবং ১৭৮টি প্রকল্প শুরুও করা হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ অযোধ্যাকে তৈরি করার জন্য আটটি স্তম্ভের উল্লেখ করেছেন সেগুলো হল- সাংস্কৃতিক অযোধ্যা, সক্ষম অযোধ্যা, আধুনিক অযোধ্যা, সুগম্য অযোধ্যা, সুন্দর অযোধ্যা, আবেগপূর্ণ অযোধ্যা, স্বচ্ছ অযোধ্যা ও আয়ুষ্মান অযোধ্যা।
আরও পড়ুন ? বাংলা থেকে কিভাবে সহজেই পৌঁছাবেন অযোধ্যার রাম মন্দির! খরচ কত পড়বে!
অযোধ্যাকে যদি সংস্কৃতির পিঠস্থান হিসেবে গড়ে তোলা যায় তাহলে এটি ভারতের সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসেবে গড়ে উঠবে। পাশাপাশি স্থাপন করা হবে মঠ, মন্দির এবং আশ্রম। বিভিন্ন মন্দির মিউজিয়াম এই ধারণার উপর ভিত্তি করে তৈরি হবে। সক্ষম অযোধ্যার আওতায় অযোধ্যাকে একটি সম্পূর্ণ স্বনির্ভর শহর হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। এর প্রধান উদ্দেশ্য হল চাকরি, পর্যটন, ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা। সংস্কৃতির পিঠস্থান এর পাশাপাশি শহরটিকে আধুনিকতার ছোঁয়াও অবশ্যই দিতে হবে। স্মার্ট সিটি, সেফ সিটি, সোলার সিটি এবং গ্রিনফিল্ড টাউনশিপের মতো উদ্যোগগুলি সেই কারণে সামঞ্জস্য রেখে তৈরি করা হবে। অযোধ্যার যাতায়াত ব্যবস্থাতেও আনা হবে বিশাল পরিবর্তন। এর আওতায় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর তৈরি করা হচ্ছে ও রেল স্টেশনেও আবার নতুন করে একাধিক পরিষেবা শুরু হচ্ছে।
অযোধ্যাকে সুন্দরভাবে সাজানোর জন্য বিভিন্ন স্থানে তৈরি করা হবে পুকুর, হ্রদ এবং প্রাচীন জলাধারের সৌন্দর্যায়ন। এছাড়া পুরানো বাগানগুলোকে নতুন করে সাজানো হচ্ছে। এই ধরনের বিভিন্ন উদ্যোগের মাধ্যমে অযোধ্যাকে একটি মনোমুগ্ধকর শহর হিসেবে গড়ে তোলা হবে। আধ্যাত্মিক দিক থেকেও এই শহরটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যা শ্রীরাম চন্দ্রের যোগকে আরও নিবিড় করে তুলবে (Ram Mandir in Ayodhya)। এই বিষয়টি মাথায় রেখেই শহরের দেওয়াল, রাস্তার ধার ও মোড়ে সাংস্কৃতিকভাবে সাজানো হচ্ছে। স্বচ্ছ অযোধ্যা কিন্তু একটি স্মার্ট শহর হিসাবে গড়ে উঠবে। আয়ুষ্ম অযোধ্যার ধারণার আওতায় শহরের নাগরিকদের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো, চিকিৎসা সুবিধা ১০০ শতাংশ দেওয়া নিশ্চিত করা হবে