নিজস্ব প্রতিবেদন : বামফ্রন্টের বিরুদ্ধে দীর্ঘ লড়াইয়ের পর ২০১১ সালে ক্ষমতা দখল করতে সক্ষম হয় তৃণমূল। তৃণমূল ক্ষমতা দখল করার পরই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay)। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে পদে বসার আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সামলেছেন রেলমন্ত্রীর দায়িত্ব। তবে কথায় আছে, ক্ষমতা কখনো দীর্ঘস্থায়ী হয় না। এমন পরিস্থিতিতে বহু মানুষের মধ্যেই কৌতূহল, আর কতদিন মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়!
এমনিতেই সাম্প্রতিক কালের কিছু ঘটনার দিকে নজর রাখলে দেখা যাবে, পশ্চিমবঙ্গের একাধিক নেতা নেত্রী বিভিন্ন দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ছেন এবং তারা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে ধরা পড়ছেন। এই সকল নেতা-নেত্রীদের বিরুদ্ধে তদন্ত করার পাশাপাশি রাজ্যের অনেক নেতা মন্ত্রীকেই এখন জেলের ভাত খেতে হচ্ছে। এসবের দিকে তাকালে বিভিন্ন সময় বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে, তৃণমূল যেকোনো সময় ক্ষমতা হারাবে।
এমনকি একাধিকবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী, তৃণমূলের ক্ষমতা হারানোর দিনক্ষণ বেঁধে দিয়েছেন এবং দিচ্ছেন। এবারও শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছেন, দেড় বছরের মধ্যে রাজ্যে তৃণমূল সরকারের পতন ঘটবে। তৃণমূল সরকারের পতন ঘটলে স্বাভাবিকভাবেই মুখ্যমন্ত্রীর আসন থেকে সরে যেতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
আরও পড়ুন ? ধারে কাছে নেই মমতা-মোদি! জানেন কত টাকার মালিক বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
তবে বিরোধীদের তরফ থেকে এমন দাবি করা হলেও তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ আগেই জানিয়ে দিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেয়াদ এখনো শেষ হয়নি। মেয়াদ শেষ না হওয়ার প্রসঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি তিনি রাজ্যের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রীর নামও ঘোষণা করে দিয়েছেন। আর কুনাল ঘোষের এমন মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেই এখন রাজ্য রাজনীতিতে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা।
কুনাল ঘোষ জানিয়েছেন, মমতা ব্যানার্জিকে দুর্বল করার শক্তি কারো নেই। ২০৩৬ সাল পর্যন্ত তিনি মুখ্যমন্ত্রী হিসাবেই থাকবেন। এরপর মুখ্যমন্ত্রী হবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Bandyopadhyay)। কুনাল ঘোষের এমন মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য রাজনীতিতে দুই রকমের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যাচ্ছে। পাশাপাশি বিষয়টি নিয়ে এখন রীতিমত তৈরি হয়েছে শোরগোল।