নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রতিদিন দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে হাজার হাজার লোকাল, এক্সপ্রেস সহ বিভিন্ন ধরনের যাত্রীবাহী ট্রেন ছুটে চলেছে। এই সকল ট্রেনে চড়ে প্রতিদিন ভারতের প্রায় এক কোটি মানুষ গন্তব্যে পৌঁছান। তবে এই বিপুলসংখ্যক যাত্রীরা ট্রেনে চড়ে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা গেলেও রেলের (Indian Railways) অনেক কিছু তাদের জানা নেই। ঠিক সেই রকমই অধিকাংশ যাত্রীরাই জানেন না DMU, EMU ও MEMU-র ফারাক।
ভারতের বিপুল সংখ্যক যাত্রীকে প্রতিদিন এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রায় সাড়ে সাত হাজার রেলস্টেশন থেকে ১১ হাজারের বেশি যাত্রীবাহী ট্রেন ছাড়া হয়। এই সকল ট্রেনের মধ্যে থাকা লোকাল, প্যাসেঞ্জার, এক্সপ্রেস, সুপারফাস্ট, প্রিমিয়াম, মেইল ইত্যাদি ট্রেন সম্পর্কে অনেকেই জানেন। কিন্তু এদের সঙ্গেই জড়িয়ে থাকা DMU, EMU ও MEMU-র মধ্যে কোথায় পার্থক্য রয়েছে তা অনেকের কাছেই অজানা। সেই সব অজানা বিষয়গুলিই আজ আমরা তুলে ধরব।
আসলে লোকাল হোক অথবা এক্সপ্রেস বা ফাস্ট প্যাসেঞ্জার, প্রতিটি ট্রেনকে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা টেনে নিয়ে যায় ইঞ্জিন বা লোকোমোটিভ (Locomotiv)। এই সকল ইঞ্জিন বা লোকোমোটিভের সঙ্গেই জড়িয়ে রয়েছে DMU, EMU ও MEMU। মূলত কোন শক্তির উপর নির্ভর করে ইঞ্জিন কাজ করে থাকে তার ওপর ভিত্তি করেই এই সব নাম দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন ? ফলোয়ার্স কামাতে গিয়ে রেলস্টেশনে, ট্রেনে ছ্যাবলামি, নাচানাচি! এবার হাড়ে হলুদ দেবে রেল
DEMU : DEMU হল ডিজেল ইলেকট্রিক মাল্টিপেল ইউনিট। এদের আবার তিনটি ভাগ রয়েছে, ডিজেল বৈদ্যুতিক ডেমু, ডিজেল হাইড্রোলিক ডেমু এবং ডিজেল মেকানিক্যাল ডেমু। এই সকল ট্রেনের প্রতিটি তিনটি কোচ অন্তর অন্তর একটি করে পাওয়ার কোচ অন্তর্ভুক্ত করা হয়। যেকারণে এগুলিকে শক্তি সাশ্রয়ী ট্রেনও বলা হয়।
EMU: EMU হলো ইলেকট্রিক মাল্টিপেল ইউনিট। এই ট্রেন কলকাতা, দিল্লী, মুম্বাই, চেন্নাইয়ের মতো বড় বড় শহরগুলির মেট্রো শহরে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই সকল ট্রেনের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ৬০ থেকে ১০০ কিলোমিটার। বিদ্যুতের সাহায্যে চালানোর জন্য এই সকল ট্রেনগুলিতে এক ধরনের প্যানটোগ্রাফ থাকে। এইসব ট্রেনগুলিতে ১২ থেকে ১৬টি কোচ ব্যবহার করা হয়।
MEMU : MEMU এর পুরো অর্থ হল মেনলাইন ইলেকট্রিক মাল্টিপেল ইউনিট। এই ধরনের ইঞ্জিনগুলি হল উন্নত এবং উচ্চ প্রযুক্তির। এই ধরনের ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়ে থাকে ২০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বের ক্ষেত্রে। এই ধরনের ইঞ্জিন যে সকল ট্রেনে ব্যবহার করা হয় সেই সকল ট্রেনগুলিতে চারটি কোচ অন্তর অন্তর একটি করে পাওয়ার কার ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই ধরনের ট্রেনে ৮ থেকে ১২ টি কোচ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এইসব ট্রেনগুলিতে এয়ারকন্ডিশন, ওয়াশরুম ইত্যাদির সুবিধা পাওয়া যায়। আবার এই সকল ট্রেনের ভাড়াও অনেক কম হয়।