নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশের কোটি কোটি মানুষ রেল পরিষেবার ওপর নির্ভর করে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাতায়াত করে থাকেন। যাত্রীসংখ্যার দিকে নজর রাখলে প্রায় প্রতিদিন এক কোটি মানুষ বিভিন্ন ট্রেনে চড়ে গন্তব্যে পৌঁছান। এই বিপুলসংখ্যক যাত্রীকে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার জন্য রেলের তরফ থেকে প্রতিদিন প্রায় ১২ হাজার যাত্রীবাহী ট্রেন চালানো হয়। তবে এরপরেও কিন্তু যাত্রীদের সংখ্যা বা চাহিদার তুলনায় ট্রেনের সংখ্যা অনেক কম রয়ে গিয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এবার নতুন নতুন ট্রেন ট্র্যাকে নামাচ্ছে ভারতীয় রেল (Indian Railways)।
ভারতীয় রেলের তরফ থেকে নতুন ট্রেন হিসাবে ২০১৯ সালে প্রথম ট্র্যাকে নামানো হয় বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Vande Bharat Express)। এটি দেশের প্রথম সেমি হাই স্পিড ট্রেন। এছাড়াও আরও বিভিন্ন সাধারণ ট্রেন রেলের তরফ থেকে চালু করা হয়েছে বিভিন্ন রুটে। তবে তার পরেও চাহিদা যেন কমতেই চায় না। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এবার রেলের তরফ থেকে ট্র্যাকে নামানো হচ্ছে অমৃত ভারত ট্রেন (Amrit Bharat Train)।
রেলের তরফ থেকে চলতি বছরেই অমৃত ভারত ট্রেনের উদ্বোধন করা হবে বলে জানা গিয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ৩০ ডিসেম্বর অমৃত ভারত ট্রেনের উদ্বোধন হয়ে যাবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) হাত দিয়ে নতুন এই ট্রেনের উদ্বোধন হবে বলেই জানা যাচ্ছে। জানা যাচ্ছে, ঐদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অযোধ্যার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্বোধন করবেন। ওই বিমানবন্দরের উদ্বোধনের সঙ্গে সঙ্গেই উদ্বোধন হবে অমৃত ভারত ট্রেনের।
আরও পড়ুন ? বন্দে ভারত অতীত! এবার চালু হচ্ছে Push-Pull ট্রেন, কম খরচে হবে আরামদায়ক ভ্রমণ
ভারতের প্রথম অমৃত ভারত ট্রেনটি যাতায়াত করবে অযোধ্যা ও মিথিলাঞ্চলের দ্বারভাঙ্গার মধ্যে। এই দুটি জায়গা বেছে নেওয়ার পিছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। কেননা রামায়ণে উল্লেখ রয়েছে, শ্রীরাম চন্দ্রের জন্মভূমি যেমন অযোধ্যা ঠিক সেই রকমই রাম জায়া সীতার জন্মভূমি মিথিলাঞ্চল। যে কারণে এই দুই জায়গার গুরুত্ব অনেক বেশি। অযোধ্যার রাম মন্দির উদ্বোধনের আগেই এই দুই জায়গাকে রেলপথে জুড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে রেল। এছাড়াও দক্ষিণ ভারতের জন্য আরও একটি অমৃত ভারত ট্রেনের উদ্বোধন হতে পারে ওই দিনেই।
অমৃত ভারত ট্রেনটি দেশে প্রথম বন্দে সাধারণ নামে পরিচিতি লাভ করেছিল। এই ট্রেনটি শীততাপ নিয়ন্ত্রণহীন। সাধারণ মানুষদের সস্তায় এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা পৌঁছে দেওয়ার জন্য এমন ট্রেনের সূচনা করতে চলেছে ভারতীয় রেল। অন্যান্য ট্রেনের থেকে এই ট্রেনের টিকিটের ভাড়া অনেক কম হবে বলেই জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে পুশ-পুল প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে অন্যান্য সাধারণ ট্রেনের তুলনায় অনেক তাড়াতাড়ি গন্তব্যে পৌঁছে যাবে এই ট্রেনটি। এই ট্রেনে স্লিপার ক্লাস এবং সাধারণ শ্রেণীর কোচও থাকবে।