নিজস্ব প্রতিবেদন : জাতীয় সড়ক হোক অথবা এক্সপ্রেসওয়ে, এই ধরনের রাস্তা যেমন সরকারের তরফ থেকে দেশের নাগরিকদের উপহার দিয়ে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গার দূরত্ব কমিয়ে দিয়েছে, ঠিক সেইরকমই এই সব রাস্তার উপর দিয়ে যাতায়াত করতে দিতে হয় নির্দিষ্ট টোল (Toll Tax)। নিয়ম অনুসারে টোল ট্যাক্স দেওয়ার ক্ষেত্রে সাধারণ নাগরিকদের কোন সমস্যা না থাকলেও, বড় একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় টোল প্লাজার (Toll Plaza) লাইন।
দেশের বহু টোল প্লাজা রয়েছে যেগুলিতে নাগরিকদের টোল দেওয়ার জন্য গাড়ি নিয়ে মিনিটের পর মিনিট লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। কখনো কখনো দাঁড়িয়ে থাকা আধঘন্টা বা তার বেশিও হয়ে দাঁড়ায়। আগে যখন FAStag ছিল না তখন এই সময়ের পরিমাণ ছিল অনেক বেশি। তবে FAStag এসেও যে সমস্যার একেবারেই সমাধান হয়ে গিয়েছে তা নয়। এসবের পরিপ্রেক্ষিতেই এবার বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে চলেছে সরকার।
সরকারের তরফ থেকে এবার নতুন যে ব্যবস্থা গ্রহণ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে তাতে করে আর নাগরিকদের লাইনে দাঁড়ানোর কোন প্রয়োজন হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। কেননা এই ব্যবস্থা পুরোপুরি ভাবে চলবে জিপিএস-এর মাধ্যমে। সরকারের তরফ থেকে এবার টোল আদায়কে আরও সহজ করার জন্য আনা হচ্ছে জিপিএস ভিত্তিক টোল আদায় ব্যবস্থা (GPS Based Toll Tax Collection)। নতুন এই ব্যবস্থা নতুন ভারতের বড় পদক্ষেপ হয়ে দাঁড়াবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন ? ভারতের এই ২৫ জন টোল ট্যাক্স না দিলেও ধরে না কেউ! জানেন তারা কারা
কবে এই নতুন ব্যবস্থা আসবে? নতুন এই ব্যবস্থা আসার ক্ষেত্রে আর বেশি দিন অপেক্ষা করতে হবে না বলেই জানাচ্ছেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রী নীতিন গড়কড়ি (Nitin Gadkari)। তিনি নতুন এই ব্যবস্থা নিয়ে এখনো পর্যন্ত যা জানিয়েছেন তাতে মনে করা হচ্ছে আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালের মার্চ মাস থেকেই অত্যাধুনিক এই পদ্ধতিতে টোল ট্যাক্স আদায়ের কাজ শুরু হয়ে যাবে।
নতুন এই ব্যবস্থা দেশের দুটি জায়গা থেকে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে শুরু হবে এবং পরবর্তীতে তা সব জায়গায় ছড়িয়ে দেওয়া হবে। নতুন এই ব্যবস্থায় কেবলমাত্র জ্যামে আটকে যাওয়ার ক্ষেত্রেই সুবিধা মিলবে তা নয়, এর পাশাপাশি নাগরিকরা তাদের যানবাহন নিয়ে কতদূর যাচ্ছেন বা কতটা রাস্তা অতিক্রম করছেন তার ওপর ভিত্তি করে টোল নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে টোল খরচ কমে যাবে বলেও মনে করা হচ্ছে। আবার অনেকের ক্ষেত্রে যাদের টোল দিতে হতো না তাদেরও টোল দিতে হতে পারে।