One of the largest mosques in the world is being built next to the Ayodhya Ram Temple: উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যা কিন্তু এখন খবরের শিরোনামে। কারণটা আশা করি দেশের সকলেরই জানা। গোটা দেশবাসী অপেক্ষা করে আছে সেই বহু প্রতীক্ষিত দিনটির জন্য। অযোধ্যায় যে রামমন্দির তৈরি হয়েছে তার উদ্বোধন হতে চলেছে আগামী মাসের ২২ তারিখ। প্রধানমন্ত্রীর হাত দিয়ে এই শুভ কাজটি সম্পন্ন হবে। সাধারণ মানুষের জন্য খুলে যাবে এই মন্দিরের দরজা। আর মাত্র কয়েকদিনের অপেক্ষা তারপরই সবাই দর্শন করতে পারবে রামলালার। তবে শুধুই কি মন্দির প্রতিষ্ঠিত হবে এখানে? পাশাপাশি তৈরি হতে চলেছে মসজিদ (Ayodhya Mosque)।
অনেকেরই হয়তো অজানা যে, মন্দির থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে অযোধ্যা জেলার ধন্যিপুরে তৈরি হওয়ার কথা এই বহু পরিকল্পিত মসজিদের। ২০১৯ সালে মামলার রায় হিসাবে মুসলিম পক্ষকে শীর্ষ আদালত নির্দেশ দিয়েছিল পাঁচ একর জমি দিতে হবে মসজিদ নির্মাণের (Ayodhya Mosque) জন্য। জানেন কি কবে থেকে শুরু হবে এটি নির্মাণের কাজ? ট্রাস্টের প্রধান এবং ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেছেন যে, হয়তো ২০২৪ সালের মে মাস থেকেই মসজিদ নির্মাণের কাজ শুরু করা যাবে।
এই মসজিদ (Ayodhya Mosque) দেখাশোনার দায়িত্ব থাকবে উত্তরপ্রদেশ সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ড ‘ইন্দো-ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট’ এর উপর। তবে এই বিশাল জমিতে শুধুমাত্র মসজিদই হবে তাই নয়, পাশাপাশি হবে একটি হাসপাতাল, কয়েকটি যৌথ রান্নাঘর ইত্যাদি। আশা করা যাচ্ছে এই পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ এগোবে।
এই মসজিদটির (Ayodhya Mosque) খরচ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যেই গড়ে উঠেছে একটি কমিটি। মুম্বাই ভিত্তিক এই কমিটি এতদিন পর্যন্ত ৫০ লাখ মত তুলতে পেরেছে। মসজিদটির নকশাও মোটামুটি ঠিক করা হয়েছে। মন্দিরের নকশাও পেশ করা হয়েছে অযোধ্যা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কাছে। ধরা হয়েছে মসজিদসহ বিভিন্ন জিনিস তৈরি করতে খরচ হতে পারে ১২০০ কোটি টাকা। এর নকশা এত সুন্দরভাবে গড়ে তোলা হয়েছে যে তাজমহলের থেকেও দেখতে সুন্দর হবে। মানুষের কাছে হবে দেশের সবথেকে আকর্ষণীয় মসজিদ।
অযোধ্যার এই মসজিদের ভিত্তি স্থাপন করবেন মক্কার ইমাম বা ইমাম-ই-হরম আবদুল-রহমান আল-সুদাইস। এখানে কোনো লোক নমাজ পড়তে পারবেন না। বরং সেখানে তৈরি হবে ৫০০ শয্যার ক্যানসার হাসপাতাল। এছাড়াও থাকবে পাঁচটি মিনার, যা ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভ-নমাজ, রোজা, যাকাত, তৌহিদ ও হজের প্রতীক হবে। তথ্য অনুসারে জানা যায় যে, মসজিদের পবিত্র কোরান হতে পারে গেরুয়া রঙের যা হিন্দু ও মুসলিম উভয় ধর্মের মানুষই বিশ্বাস করেন।