নিজস্ব প্রতিবেদন : বর্তমানে দেশের অধিকাংশ বাড়িতেই পৌঁছে গিয়েছে রান্নার গ্যাস কানেকশন (LPG)। রান্নার গ্যাস কানেকশন বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাওয়ার ফলে তা এখন গৃহস্থালিদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিসে পরিণত হয়েছে। সরকারের তরফ থেকে এই গুরুত্বপূর্ণ জিনিসের সঙ্গে ReKYC অর্থাৎ বায়োমেট্রিক আপডেট করার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই কাজ ইতিমধ্যেই চলছে দেশের গ্যাস সরবরাহকারি সংস্থার এজেন্সিদের মাধ্যমে।
রান্নার গ্যাস কানেকশনের সঙ্গে বায়োমেট্রিক আপডেট করার জন্য ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে রীতিমতো বড় লাইন পড়তে দেখা যায় এজেন্সীদের দোকানের সামনে। বড় লাইনকে সুযোগ লাগিয়ে বিভিন্ন জায়গায় আবার টাকা নেওয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন জিনিসপত্র গতিয়ে দেওয়ার অভিযোগও ওঠে। মূলত মানুষদের মধ্যে বায়োমেট্রিক আপডেট করানোর জন্য এমন তাড়াহুড়ো পড়ে যায় দুটি কারণে।
প্রথম কারণ হিসাবে প্রথম দিকে রটেছিল, রান্নার গ্যাস কানেকশনের সঙ্গে বায়োমেট্রিক আপডেট করার শেষ তারিখ হল ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩। আর দ্বিতীয় কারণ হল, ভর্তুকি বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা। কারণ এই দুটি ঘটনা ঘটলেই চরম সমস্যায় পড়তে হবে সাধারণ মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত শ্রেণীর মানুষদের। তবে এসবের মধ্যেও অনেকেই রয়েছেন যাদের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বায়োমেট্রিক আপডেট করানো সম্ভব হয়নি। এখন সেইসব গ্রাহকদের কি হবে?
আরও পড়ুন ? দুটি অ্যাপ ইনস্টল করেই হয়ে যাবে গ্যাসের বায়োমেট্রিক আপডেট! দরকার নেই এজেন্সির কাছে ছোটাছুটির
৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখের মধ্যে যাদের রান্নার গ্যাস কানেকশনের সঙ্গে এখনও বায়োমেট্রিক আপডেট করা হয়নি তাদের চিন্তা করার কোনো কারণ নেই। গোদা বাংলায়, কাজটি গুরুত্বপূর্ণ হলেও এখনো পর্যন্ত তা না হলেও কিচ্ছু এসে যায় না। কেননা সরকারের তরফ থেকে কোথাও বলা হয়নি যে ভর্তুকি বন্ধ হয়ে যাবে অথবা কানেকশন বাতিল করে দেওয়া হবে। এছাড়াও সরকারের তরফ থেকে বায়োমেট্রিক আপডেট করানোর জন্য কোন শেষ সময়সীমা এখনো পর্যন্ত বেঁধে দেওয়া হয়নি।
সরকারের তরফ থেকে এজেন্সিদের যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সেই নির্দেশ অনুযায়ী বায়োমেট্রিক আপডেট করানোটা জরুরি। কেননা এতে আসল গ্রাহককে শনাক্ত করা সম্ভব হবে। যে সকল গ্রাহকরা মৃত তাদের কানেকশন নিকটস্থ আত্মীয়কে ট্রান্সফার করে দেওয়া হবে। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনা প্রকল্পের আওতায় যে সকল গ্রাহকরা রয়েছেন তারা আসল না নকল শনাক্ত করা যাবে। তবে চিন্তার কারণ নেই, সবকিছুর জন্য এখনো হাতে সময় আছে। যতদিন না সরকারের তরফ থেকে এর শেষ দিন বেঁধে দেওয়া হয়।