নিজস্ব প্রতিবেদন : ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে (Lok Sabha Election 2024) ঘিরে ইতিমধ্যেই তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে দেশের সমস্ত রাজনৈতিক দলের তরফ থেকে। লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির বিরোধিতায় করার জন্য বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি একজোট হয়ে তৈরি করেছে ইন্ডিয়া জোট (India Alliance)। ইতিমধ্যেই ইন্ডিয়া জোটের তরফ থেকে বেশ কয়েক দফা বৈঠক হয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত ঠিক করা সম্ভব হয়নি কে এই জোটের মুখ হবেন।
ইন্ডিয়া জোটে এখনো পর্যন্ত অন্ততপক্ষে ২৮ টি রাজনৈতিক দল সামিল হয়েছে। এই সকল রাজনৈতিক দলের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো কংগ্রেস, আপ, তৃণমূল কংগ্রেস, আরজেডি, জনতা দল ইউনাইটেড, দক্ষিণ ভারতের একাধিক দল ইত্যাদি। যেখানে জোটের মুখ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে সেই জায়গায় বারবার এইসব প্রতিটি প্রভাবশালী রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীরা চাইছেন তাদের দলের কেউ মুখ হয়ে উঠুক।
লোকসভা ভোটে জোটের মুখ এবং আসন রফা নিয়ে বিভিন্ন সময় ইন্ডিয়া জোট সঙ্গীদের মধ্যে মতবিরোধও লক্ষ্য করা গিয়েছে। তবে মতবিরোধ থাকলেও কেউ কিন্তু এখনো জোট ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেননি। স্বাভাবিকভাবেই জট থাকলেও একজোট হয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই হবে বলেও মনে করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে দেশের মানুষেরা কাকে এই জোটের মুখ হিসাবে চাইছেন।
আরও পড়ুন ? কে হবে মোদির উত্তরসূরী! অমিত শাহ, যোগী না গড়কড়ি! আপনার মত নাও মিলতে পারে
ইন্ডিয়া জোটে ২৭-২৮ টি রাজনৈতিক দল থাকলেও বারবার যেসব রাজনৈতিক দল থেকে জোটের মুখ হওয়ার প্রসঙ্গ উঠছে তারা হলেন তৃণমূল কংগ্রেস, কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি, জনতা দল ইউনাইটেড ইত্যাদি। তবে প্রশ্ন হল দেশের মানুষেরা কাকে এই বিরোধী জোটের মুখ হিসাবে চাইছেন? এই বিষয়ে সম্প্রতি এবিপি এবং সি ভোটার একটি সমীক্ষা করে। সেই সমীক্ষার ফলাফল থেকে মানুষের পছন্দ জানা যায়।
সমীক্ষায় যারা অংশগ্রহণ করেছিলেন তাদের মধ্যে সবচেয়ে বড় সংখ্যার মানুষ চান, বিরোধী জোট অর্থাৎ ইন্ডিয়া জোটের মুখ করা হোক রাহুল গান্ধীকে। রাহুল গান্ধীর পক্ষে ভোট পড়েছে ৩৪ শতাংশ। এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে জায়গা পেয়েছেন আম আদমি পার্টির অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তার স্বপক্ষে ভোট পড়েছে ১৩ শতাংশ। তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার। তাকে ১০ শতাংশ মানুষ বিরোধী জোটের মুখ হিসাবে দেখতে চান। এদিকে ৩৪ শতাংশ মানুষ কিছু বলতে পারবেন না বলে জানিয়েছে। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিরোধী জোটের মুখ হিসাবে বাংলার বহু মানুষ এবং দলের নেতা নেত্রীরা চাইলেও তার স্বপক্ষে ভোট করেছে মাত্র ৯ শতাংশ। তালিকায় সবার তলানিতে রয়েছেন তিনি।