নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশজুড়ে দিন দিন বেড়ে চলেছে যানবাহনের সংখ্যা। যানবাহনের এমন সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দুর্ঘটনার সংখ্যাও। বেড়ে চলা এমন দুর্ঘটনার সংখ্যায় লাগাম টানতে কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে মোটর ভেহিকেল আইনে নানান পরিবর্তন আনা হয়েছে। তবে এরই সঙ্গে সঙ্গে আরও একটি পরিবর্তন গ্রহণ করেছে কেন্দ্র। সেই পরিবর্তন আনা হয়েছে হিট অ্যান্ড রানের (Hit and Run New Rules) ক্ষেত্রে।
কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে এমন ঘটনায় যে নিয়ম নিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে তাতে চালকদের জেল এবং লাখ লাখ টাকার জরিমানা করা হবে। এরই প্রতিবাদে মঙ্গলবার রাজ্য জুড়ে গাড়ি চালকদের বিভিন্ন অ্যাসোসিয়েশন প্রতিবাদে নামে। তাদের তরফ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের এই পদক্ষেপকে ‘কালা আইন’ বলে দাবি করা হয় এবং এই শুধরে নেওয়ার জন্য আবেদন জানানো হয়। এমন আইনের প্রতিবাদে রীতিমত গাড়ি চালকরা যান চলাচল বন্ধ রেখে প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন।
গাড়ি চালকদের তরফ থেকে দাবী করা হচ্ছে, কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে যে হিট অ্যান্ড রানের ক্ষেত্রে পদক্ষেপ গ্রহণ করার কথা বলা হয়েছে তাতে এমন ঘটনা ঘটলে গাড়িচালকদের ১০ বছর জেল বা ৭ লক্ষ টাকা জরিমানা দিতে হবে। আগে এই ধরনের ঘটনায় জামিনযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করা হতো। কিন্তু এখন তা জামিন অযোগ্য ধারার আওতায় চলে আসছে।
আরও পড়ুন ? হেলমেট না পরা, ধোঁয়া পরীক্ষা ফেল! জানুন কোন ট্রাফিক আইন অমান্যে কত জরিমানা
নতুন যে আইনের কথা বলা হয়েছে তা প্রসঙ্গে গাড়ি চালকরা দাবি করছেন, এমন কড়া ব্যবস্থা লাগু হতে পারে যদি দুর্ঘটনার পর কোন গাড়ি চালক দুর্ঘটনাগ্রস্থ ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। তবে পাল্টা হিসাবে গাড়ি চালু করা দাবি করছেন, এই ধরনের ঘটনায় হাসপাতালে নিয়ে গেলেও দেখা যায় বহু গাড়ি চালকদের উপর পাল্টা দুর্ঘটনাগ্রস্থ ব্যক্তির পরিবার পরিজন অথবা প্রতিবেশীরা চড়াও হন। সে ক্ষেত্রেও তাদের জীবন নিয়ে টানাটানি হয়ে থাকে। একইভাবে তাদের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, অধিকাংশ দুর্ঘটনার ক্ষেত্রেই কিন্তু গাড়িচালকদের দোষ থাকেনা।
কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে দেশজুড়ে গত সোমবার থেকেই গাড়ি চালকরা আন্দোলনে নেমেছেন। তাদের এমন আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে বহু নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এই পেশার সঙ্গে যুক্ত দেশের অন্ততপক্ষে ২২ কোটি মানুষ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে পাল্টা সরব হয়েছেন। তাদের দাবি, কেন্দ্রের এমন সিদ্ধান্তে তাদের জীবন জীবিকা এখন সংকটে।