নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশের নিম্নবিত্ত শ্রেণীর মানুষ থেকে শুরু করে উচ্চবিত্ত, অধিকাংশদেরই টাকা পয়সা সঞ্চয় থাকে ব্যাঙ্কে (Bank)। দেশের মানুষরা এই টাকা পয়সা কষ্ট করে অর্জন করে থাকেন। টাকা পয়সা কষ্ট করে সঞ্চয় করার কারণে সেসবের উপর নিরাপত্তা অত্যন্ত জরুরী। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (RBI) তরফ থেকে এই নিরাপত্তার দিকেই নজর রাখা হয়। নজরদারি রাখার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সময় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াকে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখা যায়।
দেশের সমস্ত ব্যাংকের উপর নজরদারি রাখার সময় রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া কোনরকম ত্রুটি বিচ্যুতি দেখলে প্রথমে তাদের সতর্ক করে, সতর্ক করার পাশাপাশি জরিমানা করা হয়। আর এরপরেও যদি ওই সব ব্যাংক নিজেদের ভুল শুধরে না নেয় তাহলে তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হয়। এবার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া তরফ থেকে সেই রকমই একটি বড় পদক্ষেপ নেওয়া হল এবং চার ব্যাংকের লাইসেন্স বাতিল করে দেওয়া হল।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া তরফ থেকে যাদের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে সেই তালিকায় প্রথমেই রয়েছে পিপলস কো-অপারেটিভ ব্যাংক। লাইসেন্স বাতিল হওয়ার পর এই নন-ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের তরফ থেকে আর কোন ব্যাংকিং ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবে না। এই প্রতিষ্ঠানের তরফ থেকে আর কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের থেকে টাকা জমা করার কাজ করতে পারবে না।
আরও পড়ুন ? India’s Safest Banks: দেশের সবচেয়ে নিরাপদ ব্যাঙ্ক কোন কোনটি, জানিয়ে দিল RBI
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে যে সমস্ত ব্যাংকের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে তার মধ্যে তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে আদর্শ মহিলা নাগরিক সহকারী ব্যাংক। এই ব্যাংকের তরফ থেকেও এবার আর কোন আর্থিক লেনদেন করা যাবে না। ইতিমধ্যেই এই ব্যাংক লিকুইডেশন প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মহারাষ্ট্রের কোঅপারেটিভ সোসাইটির কমিশনার এবং রেজিস্টারকে। মূলধনের ঘাটতির কারণে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
এর পাশাপাশি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে আরও যে দুটি ব্যাংকের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে সেই দুটি ব্যাংক হল ফায়েজ মার্কেন্টাইল কো-অপারেটিভ ব্যাংক এবং মুসিরি আরবান কো-অপারেটিভ ব্যাংক। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এই সকল ব্যাংক আগামী দিনে চলতে থাকলে গ্রাহকরা বিরাট ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। অন্যদিকে DICGC স্কিমের অধীনে এইসব ব্যাংকের গ্রাহকরা সর্বাধিক পাঁচ লক্ষ টাকা জরিমানা পাবেন।