India Nepal Electric Power Deal: লোডশেডিংয়ের দিন শেষ! এবার নেপালের সঙ্গে বড় চুক্তি সেরে ফেলল ভারত

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারত এমনিতেই জনবহুল দেশ। তবে তার পরেও যেভাবে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে এখন বিশ্বের বৃহত্তম জনবহুল দেশ হিসাবে ভারতের নাম প্রথমেই উঠে এসেছে। এমন পরিস্থিতিতে ভারতে প্রতিটি জিনিসেরই চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। ঠিক সেই রকমই চাহিদা বাড়ছে বিদ্যুতের (Electric Power)। এদিকে চাহিদা বাড়লেও প্রাকৃতিক সম্পদ যেমন কয়লার পরিমাণ দিন দিন কমে যাওয়ার কারণে বিদ্যুৎ ঘাটতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়। বিদ্যুৎ ঘাটটির কারণে বিভিন্ন সময় ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে লোডশেডিং (Load Shedding) দেখা যায় জনবহুল ভারতে।

Advertisements

তবে এবার এই লোডশেডিংয়ের সমস্যা অনেকটাই মিটে যাবে। কেননা ভারতের তরফ থেকে এবার বিদ্যুৎ পরিষেবা নিয়ে নেপালের সঙ্গে একটি বড় চুক্তি (India Nepal Electric Power Deal) সেরে ফেলা হলো। নেপালের বিদেশ মন্ত্রীর উপস্থিতিতে কাঠমান্ডুতে পৌঁছে এমন বড় চুক্তি সেরে ফেললেন ভারতের বিদেশ মন্ত্রী এস জয় শংকর। এই চুক্তির পরিপ্রেক্ষিতেই এবার নেপাল থেকে ভারতে আসবে বিদ্যুৎ।

Advertisements

গত জুন মাসে নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কামাল দাহাল ভারতে এসেছিলেন। সেই সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ে দুই দেশের প্রধানের মধ্যে আলোচনা হয়েছিল। সেই আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতেই সাত মাস পর নেপালের সঙ্গে এমন বড় চুক্তি সেরে ফেলল ভারত। এই চুক্তির পরিপ্রেক্ষিতে আগামী কয়েক দশক নেপাল থেকে ভারতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। মূলত নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ ভারতে পাঠানো হবে, এমনই চুক্তি হয়েছে।

Advertisements

আরও পড়ুন ? শেষ হতে চলেছে লোডশেডিংয়ের দিন! এবার বড় পদক্ষেপ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী

তবে দুই দেশের সরকারের মধ্যে এমন চুক্তি হলেও নেপালের সাধারণ মানুষদের এক অংশ এর বিরোধিতা করছেন। কেননা চুক্তি অনুসারে নেপাল থেকে ১০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ভারতকে বিক্রি করা হবে বলে জানা যাচ্ছে। আর এই বিপুল পরিমাণ বিদ্যুৎ বিক্রি যথোপযুক্ত নয় বলে তারা দাবি করছেন। নেপালের প্রাকৃতিক সম্পদকে ব্যবহার করে এইভাবে জলবিদ্যুৎ তৈরি করে তা ভারতের হাতে তুলে দেওয়া মোটেই ভালো নয় বলে মনে করছেন তারা।

তাদের একাংশের মতে, নেপালের প্রাকৃতিক সম্পদকে ব্যবহার করে এইভাবে ভারতকে জলবিদ্যুৎ দেওয়া তাদের দেশের প্রাকৃতিক সম্পদের উপর প্রভাব ফেলবে। এছাড়াও তাদের তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে, এমন সিদ্ধান্তের ফলে তাদের দেশের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বের ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হতে পারে। অন্যদিকে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পর কবে বিদ্যুৎ সরবরাহের কাজ শুরু হবে তা সম্পর্কে অবশ্য এখনো কিছু জানা যায়নি।

Advertisements