নিজস্ব প্রতিবেদন : বছর খানেক আগেই নাম ছিল টুইটার (Twitter), পরে নাম পরিবর্তন করে হয় এক্স (X)। বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটার এলন মাস্কের (Elon Musk) হাতে যাওয়ার পরই নাম পরিবর্তন হয়। তবে শুধু নাম পরিবর্তন নয়, এর পাশাপাশি এই মাইক্রোব্লগিং সাইটে আসে একের পর এক পরিবর্তন। অ্যাপের আঙ্গিক থেকে শুরু করে বিভিন্ন ফিচারে বড় বড় পরিবর্তন আসার পাশাপাশি সবচেয়ে বড় পরিবর্তন নিয়ে আসে সাবস্ক্রিপশন প্ল্যান। যা দেখে আবার ফেসবুকও একই রকম প্ল্যান চালু করে। তবে এইসব অনেক পরিবর্তন ব্যবহারকারীদের অনেকের কাছেই অসন্তোষের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু এবার এলোন মাস্ক যে পরিবর্তন আনতে চলেছেন তা গ্রাহকদের খুশির খবর, তবে চাপ বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে WhatsApp Payment, PhonePe-এর মতো সংস্থাগুলির।
Gpay, PhonePe-এর মতো সংস্থাগুলির চাপ বাড়বে এমনটা বলার সঙ্গে সঙ্গেই হয়তো অনেকেই টের পেতে শুরু করেছেন কি প্ল্যান করছেন বিশ্বের সবচেয়ে ধনী শিল্পপতি এলন মাস্ক। হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন, এবার এলন মাস্ক আনতে চলেছেন পেমেন্ট সিস্টেম। তিনি জানিয়েছেন, এবার এক্স অ্যাপের মাধ্যমে করা যাবে পেমেন্ট। যদিও এলন মাস্ক আগেই যখন এই মাইক্রোব্লগিং সাইট কিনে নিয়েছিলেন তখনই তিনি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, এটি কেবলমাত্র একটি অ্যাপ থাকবে না, পরিবর্তে এটি এমন এক অ্যাপ হয়ে দাঁড়াবে যার মাধ্যমে সব কাজ করা যাবে।
এলন মাস্ক জানিয়েছেন, তারা এবার আর মাইক্রোব্লগিং সাইটের মধ্যে নিজেদের আবদ্ধ না রেখে এই অ্যাপের মাধ্যমে পিয়ার টু পিয়ার পেমেন্ট (Peer to Peer Payment) চালু করতে চলেছেন। পিয়ার টু পিয়ার পেমেন্ট হলো ব্যক্তিগতভাবে একজন থেকে অন্যজনকে পেমেন্ট করা। অনেকটা মোবাইল ব্যাংকিং পরিষেবার মত। এই ধরনের পরিষেবা আমরা বিভিন্ন UPI অ্যাপের ক্ষেত্রেও লক্ষ্য করেছি।
আরও পড়ুন ? UPI: ফ্রির জামানা শেষের পথে! UPI পেমেন্ট দিতে হবে চার্জ! কাদের জন্য, শুরু জল্পনা
সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, চলতি বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালের মধ্যেই তারা নতুন এই পেমেন্ট সিস্টেম লঞ্চ করবে। যদিও ঠিক কবে তারা এই নতুন ব্যবস্থা লঞ্চ করবেন তা জানানো হয়নি। অন্যদিকে তাদের এই পেমেন্ট সিস্টেম কিভাবে কাজ করবে তাও এখনো স্পষ্ট ভাবে কিছু জানানো হয়নি। যদিও ঘোষণা অনুযায়ী খুব তাড়াতাড়ি নতুন পেমেন্ট সিস্টেম অন্যান্য পেমেন্ট অ্যাপগুলির সঙ্গে বাজারে প্রতিযোগিতা বাড়াবে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।
এলন মাস্কের এক্স প্লাটফর্মের কাছে এই মুহূর্তে আমেরিকার ১৪ টি শহরে অর্থ প্রদান ও গ্রহণ করার অনুমতি রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে স্পষ্ট, আপাতত সংস্থার তরফ থেকে নতুন পেমেন্ট সিস্টেম লঞ্চ করা হলেও তা কেবলমাত্র আমেরিকাতেই শুরু হতে চলেছে। তবে আমেরিকায় যা শুরু হওয়া এবং সফল হলে আগামী দিনে বিশ্বের অন্যান্য দেশেও তাদের পেমেন্ট পরিষেবা পৌঁছে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।