নিজস্ব প্রতিবেদন : মহারাষ্ট্রের মুম্বাই এবং নবী মুম্বাইকে জুড়ে দেওয়ার জন্য ৬ দশক আগে পরিকল্পনা করা হয়েছিল একটি সেতু নির্মাণের। তবে পরিকল্পনা করা হলেও তা বিভিন্ন কারণে বাস্তবায়িত হয়নি। সেই সেতু তৈরির জন্য শেষমেষ কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে এবং তা ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি উদ্বোধন হলো।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাত দিয়ে এই সেতুর উদ্বোধন করা হয়। মুম্বাই ট্রান্স হারবার লিঙ্ক (Mumbai Trans Harbour Link) অটল সেতুর (Atal Setu) উদ্বোধনের পর সবচেয়ে বড় একটি বিষয় সামনে এসেছে আর সেটি হল এই সেতুর উপর দিয়ে মোটরবাইক চালানো যাবে না। দেশের দীর্ঘতম সমুদ্র সেতুর উপর মোটরবাইক ছাড়াও অটো, ট্রাক্টর চলাচল করা নিষিদ্ধ। তবে প্রশ্ন হল কেন এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে?
অটল সেতু উদ্বোধনের ফলে মহারাষ্ট্রের দুই শহর মুম্বাই এবং নবী মুম্বাইয়ের মধ্যে যাতায়াতের সময় কমে যাচ্ছে দেড় ঘন্টার বেশি। আগে যেখানে এই দুই শহরে যাতায়াত করার জন্য সময় লাগতো দু’ঘণ্টা, সেই জায়গায় এখন এক শহর থেকে অন্য শহরে পৌঁছে যাওয়া যাবে মাত্র ১৫ থেকে ২০ মিনিটে। ১৮ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগে তৈরি এই সেতু এখন রাম মন্দিরের পর অন্যতম আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন ? Atal Setu Inauguration: চালু হলো দেশের সবচেয়ে দীর্ঘ সমুদ্র সেতুর, খরচ কত পড়ল, মিলবে কি কি সুবিধা
মুম্বাই পুলিশ সূত্রে যা জানা গিয়েছে তাতে, অটল সেতুতে চারচাকা যানবাহনের সর্বোচ্চ গতিবেগ রাখা হয়েছে ঘন্টায় ১০০ কিলোমিটার। ২১.৮ কিলোমিটারের এই সেতুতে ওঠা ও নামার সময় যানবাহনের সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকতে হবে ঘন্টায় ৪০ কিলোমিটার। এই গতিসীমার মধ্যে যে সকল যানবাহন পড়বে সেগুলি হল হালকা মোটর গাড়ি, মিনিবাস, টু এক্সেল বাস ট্যাক্সি ইত্যাদি।
কিন্তু পুলিশের তরফ থেকে এই সেতুতে মোটরবাইক, মোপেড, থ্রি হুইলার, অটো, ট্রাক্টর, বাইসাইকেল, ধীরগতির কোন যানবাহন অথবা পশু চালিত কোন যানবাহন উঠতে না দেওয়ার কারণ হলো, যাতে করে কোন দুর্ঘটনা না ঘটে, জনসাধারণের যাতে কোন অসুবিধা না হয়, যাতায়াতের ক্ষেত্রে কেউ যেন কোনো রকম বাধার সম্মুখীন না হন। যে কারণেই এই সেতুর ওপর চলাচল করা যানবাহনের উপর গতিসীমা আরোপ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে কোন ধীরগতির যানবাহন সেতুর ওপর চলাচল করলে অন্যান্য যানবাহনের গতিতে বাধা আসবে। গতির হেরফের হলে দুর্ঘটনা সহ অন্যান্য বিপদের সম্ভাবনা রয়েছে।