Investing not only in gold but also in silver gives good returns: ভারতীয় বাজারে সোনার মতো রুপোতেও বহু মানুষ বিনিয়োগ করে থাকে। এই ঘটনা একেবারে নতুন নয়, অর্থাৎ বহু বছর ধরে মানুষ রুপোতে বিনিয়োগ (Silver) করে ভালো রিটার্ন পাচ্ছে। তবে এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ডের মাধ্যমে লগ্নির বয়স কিন্তু খুব পুরনো নয়। ETF পদ্ধতির মাধ্যমে অনেকে বিনিয়োগ করে থাকে। আপনারা যেভাবে শেয়ার কেনাবেচা করেন সেভাবেই রুপো কেনা সম্ভব। মানুষের মধ্যে বিনিয়োগ করার প্রবণতা আগের থেকে অনেকটাই বেড়েছে। সোনার দাম যেমন আকাশছোঁয়া তেমনি রুপোর দামও দিনকে দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বিগত কয়েক বছর ধরে সোনা এবং রুপো, এই দুই ধাতুই নিজস্ব জায়গা করে নিয়েছে এবং দুটোর দাম ক্রমে বেড়ে চলেছে। আবার ইটিএফের দৌলতে এই ধাতুগুলিতে বিনিয়োগ (Silver) করার পরিমাণ আগের থেকে অনেক বেশি হয়েছে এবং আশা করা যাচ্ছে এই ধারাটি অটুট থাকবে। কত বিনিয়োগ করা যেতে পারে এতে? আপনি অনায়াসেই নিজের রিস্ক প্রোফাইল অনুযায়ী গোল্ড এবং সিলভারে বিনিয়োগ করতে পারেন। অন্তত ১০-১৫% রাখতে পারেন পোর্টফোলিওতে। কিন্তু কোনভাবেই রিটার্নের গ্যারান্টি দেওয়া সম্ভব নয়।
আপনি যদি মনে করেন দু – এক বছরের জন্য রুপোতে বিনিয়োগ করবেন (Silver) তাহলে কিন্তু আপনার চিন্তাধারা একেবারেই ঠিক নয়। আগামী দিনে এই বিনিয়োগ আপনার কাজে আসবে। তাই বিশেষজ্ঞদের মতে, রুপোর দামের বাড়বাড়ন্ত আগামী দিনে কাজে লাগাতে চাইলে অন্তত মধ্য মেয়াদের জন্য চিন্তা করুন।
আরও পড়ুন ? Gold Price: কয়েকমাসেই হতে পারেন সোনায় সোহাগা! দাম হতে পারে ৭০ হাজার টাকা
রুপোর দাম ভারতীয় মার্কেটে অনুসরণ করা হয়। যারা রূপোতে বিনিয়োগ (Silver) করে আশা করবে যে দামের সঙ্গে তাল মিলিয়ে রিটার্ন পাওয়ার। সোনার মত বেশি না হলেও রূপোতে বিনিয়োগ করে আপনার লোকসান হবেনা। কিন্তু দীর্ঘ সময়ের জন্য আপনাকে বিনিয়োগ করতে হবে। তবে ‘ট্র্যাকিং এরর’ অর্থাৎ সূচকের তুলনায় বিচ্যুতি নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
বিনিয়োগকারীকে এক্সিট লোড নিয়ে চিন্তা করতে হয়না। যারা বিনিয়োগ করে তাদের কিছু ক্ষেত্রে রিস্ক থাকে যেমন ধরুন সিলভার ইনডেক্স যদি পড়ে যায়, তাহলে ভ্যালুও পড়ে যাবে ইনডেক্স ফান্ডের। ইনডেক্স ফান্ড এবং ইটিএফে সূচক নির্ভর রিটার্ন আনার চেষ্টা করা হয়। ফান্ড ম্যানেজার সূচকটি হারিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন না। সেই জন্যই ‘প্যাসিভ ম্যানেজমেন্ট’ বিনিয়োগকারীর জন্য এমন ‘কস্ট এফেকটিভ’ হিসাবে গণ্য হয়ে থাকে। তবে অ্যাক্টিভ ম্যানেজমেন্টে খরচ অনেক বেশি। আবার যারা সাধারণ ইনভেস্টর তারা এককালীন লগ্নি এবং সিপ, দুই-ই করতে পারেন। যখনই দাম পড়বে স্বল্প পরিমাণে লগ্নি সবাই করতে চান। রিটেল ইনভেস্টরদের জন্য এই পদ্ধতি বেশ সুবিধাজনক।