Plasser Quick Relaying System will increase passenger convenience in Indian Railways: কম খরচে আরামদায়ক যাতায়াতের এক অন্যতম মাধ্যম হলো রেল পরিবহন। প্রতিদিন কাজের উদ্দেশ্যে হোক বা ভ্রমণের উদ্দেশ্যে বহু মানুষ এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাওয়ার জন্য রেল মাধ্যমকে বেছে নেয়। ফলেই যাত্রীদের সুরক্ষার কথা ভেবে রেল পরিবহনকে উন্নত থেকে উন্নততর করার লক্ষ্যে রয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। ফলস্বরূপ যাত্রীদের কথা ভেবে নতুন বছরে এক বড় উদ্যোগ রেল কর্তৃপক্ষের। যাত্রী সুরক্ষার্থে চলতি বছরের শুরুতেই পরিবর্তন পুরনো রেল ট্র্যাকের। ব্যবহার করা হয়েছে PQRS (Plasser Quick Relaying System) মেশিন।
সূত্রের খবর উত্তর-পূর্ব রেলওয়ে সীমান্তের ২০২৪ সালের লক্ষ্য হল পুরনো রেলওয়ে ট্র্যাক গুলি পুনরায় নির্মাণ করে আধুনিক রেলওয়ে ট্র্যাক লাগানো। যা করা হবে PQRS অর্থাৎ প্লাসার কুইক রিলেয়িং সিস্টেমের (Plasser Quick Relaying System) মাধ্যমে। এই পরিবর্তনের ফলে যা যাত্রীদের অধিক সুরক্ষা নিশ্চিত করবে।
PQRS অর্থাৎ প্লাসার কুইক রিলেইং সিস্টেম এমন একটি মেশিন যা খুবই দ্রুত পুরোনো রেল লাইনের ট্র্যাক বদলে দিয়ে নতুন প্যানেল প্রতিস্থাপন করে দেয়। ক্রেনের মধ্যেই রয়েছে এই মেশিন। যা কম খরচে এবং কম সময়ের মধ্যেই পুরনো ট্র্যাকগুলিকে নতুন ট্র্যাকে পরিণত করে ফেলতে পারে। মূলত কংক্রিটের স্লিপারগুলির ওজন তুলা মূলক ভারি হয়। ফলে মানুষের দ্বারা ম্যানুয়ালি কাজ করতে দীর্ঘ সময় লাগে। কিন্তু এই PQRS মেশিন সেই কাজ কয়েক ঘন্টায় করে দেয়। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় আধ কিলোমিটার করতে মেশিনের সময় লাগে মাত্র কয়েক ঘন্টা।
আরও পড়ুন ? Tejas Express Fare: বাংলা থেকে তেজস এক্সপ্রেসে চড়ে সোজা দিল্লি! দেখে নিন কত পড়বে খরচ
শুধু কম সময় বা কম খরচ নয়, এই স্ব-চালিত PQRS (Plasser Quick Relaying System) কাজের গুণগত মান নিশ্চিত করে। এই মেশিনের মাধ্যমে সুরক্ষা কতটা মজবুত হবে এবং ভবিষ্যতে গতি কতটা বৃদ্ধি করা যাবে তাও জানা যায়।
গত বছরে পুরনো রেলওয়ে ট্র্যাককে বদলে নতুন রেলওয়ে ট্র্যাক প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল প্রায় ১২১.৭৬ কিলোমিটার পর্যন্ত। তবে চলতি বছরে অর্থাৎ ২০২৪ সালের ১১ই জানুয়ারি পর্যন্ত এই পরিবর্তন প্রতিস্থাপন হয়েছে ১২৫.১৪ কিলোমিটার। যা ১০.৭০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। নর্থ-ইস্ট রেলওয়ে বোর্ডের আশা রয়েছে তারা প্রায় ১৬০ কিলোমিটার লক্ষ্য পূরণে সফল হবেন। কাজ কিরকম এগোয় এবার সেটাই দেখার।